"পুরুষ জমিন" — সাহিত্যিক বন্ধুপ্রতিম প্রফেসর ড. শীর্ষেন্দু মুখার্জির কলমে সৃষ্ট একটি বিরলধারার উপন্যাস। প্রচলিত সাহিত্যধারার বিপরীতে অবস্থান নিয়ে, এই গ্রন্থে পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অন্তরালে অব্যক্ত বঞ্চনা, নিপীড়ন ও লাঞ্ছনার যে নির্মম চিত্র উঠে এসেছে, তা নিঃসন্দেহে এক অসামান্য সাহিত্যসৃষ্টির মর্যাদা লাভ করেছে।

বইটিতে চিত্রিত হয়েছে সেই সকল পুরুষদের নীরব অথচ করুণ জীবনসংগ্রাম, যারা সমাজ ও আইনি জটিলতার বেড়াজালে পড়ে চরম নিঃসহায় অবস্থায় দিন কাটাতে বাধ্য হন। প্রতিটি পৃষ্ঠা যেন এক এক করে উন্মোচিত করে সেই উপেক্ষিত সত্য, যা এতদিন চাপা পড়ে ছিল তথাকথিত প্রগতিশীলতার ছায়ায়।

"পুরুষ জমিন" গ্রন্থটিকে পুরুষ-অধিকার আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল ও সময়োপযোগী ইশতেহার হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যেসব নির্দোষ ও নিরীহ পুরুষদের ওপর অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচার চলে এসেছে, তাদের পক্ষে এই উপন্যাসের মাধ্যমে এক নিঃশব্দ কিন্তু দৃপ্ত প্রতিবাদ প্রকাশ পেয়েছে। লিঙ্গ-সাম্যের সত্যিকার ধারণা সমাজ, আইন ও বিচারব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার যে প্রয়োজন, তা এই বইটির মাধ্যমে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে। সমাজে আশার আলো জ্বালাতে বইটি এক উজ্জ্বল দিশারী হিসেবে পাঠকের মননে প্রোথিত হতে বাধ্য।

এমন একটি সময়োপযোগী, সাহসী ও ব্যতিক্রমী সাহিত্যসৃষ্টি উপহার দেওয়ার জন্য লেখককে জানানো হচ্ছে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। তাঁর কলম থেকে ভবিষ্যতেও এমন সৃষ্টির প্রত্যাশায় অপেক্ষা করা হচ্ছে উৎসুক মন নিয়ে।