গল্প হলেও মিথ্যে: বাস্তবের ছায়ায় বিস্ময়কর এক অভিযাত্রা

খেলার মাঠ থেকে রহস্যের জগতে—এক অনন্য যাত্রা

উইম্বলডনের সবুজ ঘাসে ইতিহাস লেখা হয় বারবার। টানা পাঁচবার জেতার রেকর্ড রয়েছে বর্গের, এবার যদি সে জেতে, তাহলে সে-ও পৌঁছে যাবে সেই উচ্চতায়। আর একটা শিরোপা, আর একটা সাফল্য, আর একটা স্বপ্নপূরণ—বিশেষ করে ব্রিজেটের জন্য, যে এখনও তার স্বামীকে স্ল্যাম জিততে দেখেনি।

কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, কয়েকশো মিটার দূরে এক বিদেশি এক চিরকুট হাতে নিয়ে এগিয়ে আসছে। এক ভয়ানক সংবাদ নিয়ে এসেছে সে—একটি অদৃশ্য বিপদ, একটি সময়সীমা, একটি অনিবার্য সিদ্ধান্ত।

অচেনা সেই আগন্তুক, কিংবা ঘাসের রাজা পিট—কারও জানা নেই, সামনে কী অপেক্ষা করছে। তেসরা জুলাইয়ের সংবাদপত্রের পাতায় কী লেখা থাকবে, কেউ জানে না।

এক প্রাচীন ডায়েরি, এক বিস্মৃত অভিযান

আমেরিকা থেকে ভারত মহাসাগর—সমুদ্রযাত্রার মধ্যেই শুরু হয় সেই রহস্যময় ডায়েরি পাঠ। লেখক এক ফরাসি, যিনি আঠারো শতকের শেষদিকে বাস্তিল দুর্গের পতনের সাক্ষী ছিলেন, ল্যামার্কের মতো মহান বিজ্ঞানীর সহকর্মী ছিলেন। কিন্তু বিপ্লবের উত্তাল সময়ে সব ছেড়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন এক অজানা অভিযানে।

ডায়েরিতে রয়েছে তার অভিযানের কাহিনি, ল্যামার্কের সঙ্গে বিবর্তনবাদ নিয়ে বিতর্ক, জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে এক বন্ধুকে রক্ষার প্রচেষ্টা, এবং শেষে তার নির্বাসন—ভারত মহাসাগরের এক ছোট্ট দ্বীপে।

কিন্তু সবচেয়ে অদ্ভুত রহস্য লুকিয়ে আছে কিছু প্রাচীন ছবি নিয়ে।

সেগুলো কি হাতে আঁকা, নাকি সেগুলো তোলা হয়েছিল কোনো ক্যামেরায়? কিন্তু কীভাবে? কারণ, ক্যামেরার প্রথম আবিষ্কার তখনও কয়েক দশক দূরে!

আর ছবির মানুষটি? কে সে? লেখকের বিশ্বস্ত অনুচর, নাকি অন্য কোনো রহস্যময় চরিত্র?

ডায়েরির শেষে, মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকা লেখক এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে যান—এক অমূল্য সম্পদ রেখে যেতে হবে এই দ্বীপে, চিরতরে। কিন্তু কী সেই সম্পদ? কেন তিনি ল্যামার্কের কাছেও তা প্রকাশ করতে ভয় পেয়েছিলেন?

বিশুপাল-এর "ঘাস" এবং "সেলফি" গল্পের কিছুটা অংশ হয়তো সত্যি। কিন্তু বাকিটা?

সত্য ও মিথ্যার সীমানায় দাঁড়িয়ে পাঠককে নিয়ে যাবে এই বিস্ময়কর আখ্যান। আপনি কি প্রস্তুত?