“বৈশালী যোশী ক্রাইম-জার্নালিজম সিরিজ”-এর আরও গভীরে...

নয়ের দশকের আর্থিক উদারীকরণ যেমন খুলে দিয়েছিল আকাশের দুয়ার, তেমনই খুলে দিয়েছিল অদৃশ্য অপরাধের জাল। ‘আকাশ-যুদ্ধ’ উপন্যাসটি সেই সময়ের অন্যতম আলোচিত বেসরকারি বিমান সংস্থা ইস্ট-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের মালিক থাকিউদ্দিন ওয়াহিদের প্রকাশ্য দিবালোকে খুন এবং জে. জে. হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া কুখ্যাত শ্যুটআউটকে কেন্দ্র করে এগিয়ে চলে। একদিকে মুম্বাই পুলিশ, অন্যদিকে সাংবাদিক বৈশালী—দুজনেই খুঁজছে সত্য, কিন্তু পথ ভিন্ন।

এরপর আসে ‘বিষের বাঁশি’, যেখানে ফুটবল, ড্রাগস ও কালো টাকার জগতে ঢুকে পড়ে বৈশালী। শহরের আলো-আঁধারির ফাঁকে বাঁশির সুরে বাজে মৃত্যুর আহ্বান।

শেষে, বৈশালীর চোখে ধরা পড়ে এক দমবন্ধ করা কর্পোরেট জগতের কাহিনি—‘নীতা, দ্য কর্পোরেটর’। নয়ের দশকের মুম্বাইয়ের কুখ্যাত বাহুবলী অমর নায়েকের ভাই ডন অশ্বিন এবং তাঁর রহস্যময়ী স্ত্রী নীতা—যার রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর ব্যক্তিগত জটিলতা মিলেমিশে তৈরি করেছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা আর ষড়যন্ত্রের এক বিস্ফোরক গল্প।

এই ট্রিলজির অন্য দুটি উপাখ্যান— বিজয় উতেকার ও অনাম্নী অঙ্গনার অসম প্রেম, অথবা মেহবুব, আশরফ ও উস্তারার ঘোরালো ত্রিকোণ সম্পর্ক— প্রমাণ করে দেয়, গোলাপের চেয়ে বারুদের গন্ধই কখনও কখনও বেশি টানে।

একটি সিরিজ, যেখানে সত্য ফিকশনের চেয়েও ভয়ংকর। যেখানে মুম্বাই শুধু এক শহর নয়—এক চরিত্র।