Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Swapodsone (শ্বাপদ সনে)

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Abhijan Publishers

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>
  • Publication Year : 2019
  • ISBN No : 978-93-87575-94-3
  • Binding : Paste Board (Hard)
  • Pages : 200
  • Weight : 600 gms
  • Height x Width x Depth : 8.26x7.08x0.78 Inch
MRP : ₹240.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹204.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

এক পা-এক পা করে পিছিয়ে এলাম জিনিসটার কাছ থেকে। ভয় হচ্ছে, এখনি জেগে উঠবে ওটা, আর ভয়ংকর কিছু করবে আমার সাথে।
মুখের ওপর হাত চাপা দিয়ে রেখেছি বটে আমি, কিন্তু ইচ্ছে করছে গলা ফাটিয়ে চেঁচাতে। তা হলে যদি আবার জিনিসটা জেগে ওঠে? কিন্তু আমি যখন একটু আগে দরজা ধাক্কাধাকি করলাম, তখন জিনিসটা জাগেনি কেন? ওটা কি মরে গেছে?
পিছিয়ে আসতে আসতে আমার পিঠের সাথে লাগল কাঠের দরজাটা। যতদূর সম্ভব কম শব্দ করে ওটা খোলার চেষ্টা করলাম আবার। পারলাম না।এই সময় চোখে পড়ল, ঘরের উলটো দিকের দেয়ালেও একটা দরজা আছে। দরজাটা সম্ভবত পাশের ঘরে যাবার। পা টিপে টিপে ওটার দিকে এগোলাম। বিছানার শুয়ে থাকা ওই জিনিসটার সাথে একই ঘরে আর বেশিক্ষণ থাকতে হলে পাগল হয়ে যেতাম আমি!এই দরজাটায় হাত দিতেই খুলে গেল। আগের ঘরটার সমান আকারের আর-একটি ঘরে হাজির হয়েছি আমি। ঘরটায় কোনো দরজা নাই। কোনো জানালা নাই। কোথাও কিছু নেই, শিপলু ভাইয়া, তবু কেমন একটা ধূসর হালকা আলো সারা ঘরে। কেবল কোণাগুলোয় অন্ধকার।গোটা ঘরটা খালি। কেবল ছাদে একটা ফ্যান ঝুলছে। ফ্যানটার কেবল দুইটা পাখা। আর-একটা নাই। সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপারটা হচ্ছে ফ্যানটার সাথে একটা দড়ি ঝুলছে। দড়িটার শেষ মাথায় একটা ফাঁস।যেন কেউ ফাঁসির দড়ি ঝুলিয়েছে দুই ব্লেডওয়ালা ফ্যানটা থেকে।
আর সেটার ঠিক নীচেই মেঝের ওপর একটা কাঠের চেয়ার।গোটা ঘরটার মধ্যে এমন অশুভ, এমন নারকীয় একটা কিছু ছিল, শিপলু ভাইয়া, যে আমি পারলে তখনই দৌড়ে পালিয়ে আসতাম ওখান থেকে। কিন্তু আর যাবার জায়গা কই? এই ঘরটার পরে আর কোনো ঘর নেই। আগের ঘরটায় ফেরত যাওয়া সম্ভব না। ওই জিনিসটার সাথে এক ঘরে আবার থাকতে হলে মরে যাব।দেয়ালের সাথে ঘেঁষে এলাম আমি। ইচ্ছে করছে একটা কোণায় বসে পড়ে ফিটাল পোজিশনে গুটিশুটি মেরে থাকতে। সেটাই করতাম, কিন্তু তখনই চোখে পড়ল ওদেরকে। ঘরটায় কোণায় কোণায় অন্ধকার বলে এতক্ষণ দেখতে পাইনি।ওরা সংখ্যায় চারজন। মেঝেয় বসে দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে পা গুটিয়ে হাঁটুর মাঝে মুখ গুটিয়ে বসে আছে। আমার সাড়া পেয়ে মুখ তুলল সবাই একসাথে। ভাইয়া, ওদের ওই চেহারা আমি জীবনে ভুলব না। ওদের গায়ের রং মড়ার মতো ফ্যাকাশে। ওদের সবার মাথা ন্যাড়া, মুখের জায়গায় গোল একটা ফুটো, চোখ নেই, চোখের জায়গায় কেবল চামড়া। ওদের সারা গায়ে কোনো কাপড় নেই।আমি জানি না সারি বেঁধে ঘরের কোণায় বসে থাকা ওই নগ্ন জিনিসগুলো কী ছিল। আমি চেঁচানোর চেষ্টা করলাম, পারলাম না, মুখ হাঁ করেছি কিন্তু কোনো শব্দ হচ্ছে না।
জিনিসগুলো আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে আছে, কিন্তু আমি জানি ওরা আমাকে দেখতে পারছে না, কারণ ওদের চোখ নেই। কিন্তু ওদের চামড়ার চোখের দৃষ্টি আমি সহ্য করতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে যেন আমাকে ছুরির মতো কুঁড়ছে ওদের চোখের চাহনি।