জাল — যে রহস্যে ধরা পড়ে জীবনেরই সমস্ত প্রশ্ন

২৩ বছরের অনামিকা বন্ধুদের সঙ্গে ছুটিতে গিয়েছিল পুরীতে। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ থেকে এক যুবককে বাঁচিয়ে আনল সে—নাম রঞ্জন। তখনো জানত না, সেই মুহূর্তটাই ওর জীবন পালটে দেবে। পরদিন, রঞ্জনের কৃতজ্ঞ বাবা অনামিকাকে ধন্যবাদ জানাতে এসে ওর নাম শুনে হঠাৎ থেমে যান। কিছু একটা বলতে গিয়েও বলেন, “এই বিষয়ে পরে কথা বলব।” কিন্তু সেই ‘পরে’ আর আসে না—কারণ, সেদিন রাতেই খুন হন তিনি।

ঘটনার অদ্ভুততায় অবাক অনামিকা কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। তখনই বিদেশ থেকে ওর প্রিয় বন্ধু, পেশায় প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর, রাজ ছুটে আসে। সে অনুরোধ করে এই খুনের তদন্ত শুরু করতে। অনামিকা গোয়েন্দা নয়—চিরকাল বইয়ের পাতায় রহস্য পড়ে কাটিয়েছে। তাই স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, এ কাজ তার পক্ষে সম্ভব নয়।

কিন্তু রাজের টানা খোঁচা, বিদ্রুপ আর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে শুরু করে তদন্ত। আর তার পর থেকেই একের পর এক খুন, হুমকি আর ভয়ের মুখোমুখি হতে থাকে সে। চারপাশে ঘনিয়ে আসে অজানা শত্রুদের ছায়া। ধীরে ধীরে অনামিকা আবিষ্কার করে, এই রহস্যের গভীরে লুকিয়ে আছে ওর নিজের অতীত, এমনকি বাবার মৃত্যুও আর স্বাভাবিক ছিল না।

এক জটিল জাল—যা তৈরি হয়েছে বছর বছরের পুরোনো পাপ, প্রতিশোধ আর প্রবঞ্চনার নকশায়। সেই জাল ছিঁড়ে অনামিকা কি পারবে সত্যি উদ্ঘাটন করতে? আর খুনি? তার মুখোশ উন্মোচিত হবে একেবারে শেষ অধ্যায়ের পৃষ্ঠায়—যেখানে পাঠকও হবে অবাক, হতবাক।

‘জাল’ একটি টানটান রহস্য-থ্রিলার, যেখানে প্রতিটি পৃষ্ঠা নিয়ে যায় আরেক ধাপে, আরেক মোড়ে। অনামিকার চোখ দিয়ে পাঠক খুঁজবে উত্তর—কিন্তু সব প্রশ্নের জবাব মিলবে একমাত্র শেষ কয়েক পাতায়। আপনি কি তৈরি আছেন সেই চমকে যাওয়ার জন্য?