অদৃশ্য খুনি: ডঃ ফেলের রহস্যভেদ

"অপরাধের চেয়ে বড় কোনো জাদু হয় না"—কিন্তু এই খুন কি বাস্তব, নাকি এক মহাজাদুর অংশ?

১৯৩০-এর দশকের লন্ডন এক রাতে কেঁপে উঠল দুটি অস্বাভাবিক খুনে। একই দিনে, এক নিখুঁত পরিকল্পনা! কিন্তু সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপার? খুনিকে কেউ দেখেনি—কেউ দেখেনি তাকে প্রবেশ করতে, আর কেউ দেখেনি তাকে বেরোতেও।

       প্রথম খুন: অদৃশ্য আততায়ী

 ডক্টর চার্লস গ্রিমাডের কক্ষে প্রবেশ করেছিল এক রহস্যময় ব্যক্তি, যার মুখ ঢাকা ছিল এক অদ্ভুত মুখোশে। তাকে ঢুকতে সবাই দেখেছিল, কিন্তু বেরোতে? না, কেউ নয়! মুহূর্তের মধ্যেই শোনা গেল গ্রিমাডের আতঙ্কিত চিৎকার—কিন্তু দরজা খুলতেই দেখা গেল এক ফাঁকা ঘর, আর মেঝেতে পড়ে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ।

          দ্বিতীয় খুন: বরফে নেই কোনো চিহ্ন!

 ক্যাগলিওস্ত্রো স্ট্রিটে খুন হলেন বিখ্যাত জাদুকর পিয়ের ফ্লে। বন্দুকের শব্দে লোকজন ছুটে এল, দেখল ফ্লে লুটিয়ে পড়েছে—কিন্তু খুনি? বরফে কোনো পায়ের ছাপ নেই, কোনো নিশান নেই—যেন সে বাতাসে মিলিয়ে গেছে!

এই রহস্যভেদ করতে এগিয়ে এলেন কিংবদন্তি গোয়েন্দা ডঃ ফেল। তিনি কি পারবেন অদৃশ্য আততায়ীকে খুঁজে বের করতে? নাকি এই রহস্য থেকেই যাবে অমীমাংসিত?

এক রুদ্ধশ্বাস ক্লাসিক ডিটেকটিভ কাহিনি—যেখানে প্রত্যেকটি মুহূর্তই আপনাকে ভাবাবে, "এটা কীভাবে সম্ভব?"