Writer : Ankur Bar
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Mystery/Suspense & Paranormal
- Publication Year : 2021
- ISBN No : 978-93-90890-42-2
- Binding : Paper Back
- Pages : 176
- Weight : NA
- Height x Width x Depth : 7x4.7x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
মড়িক্ষণ: অমুয়ার অভিশাপ"
"মৃতদেহ কেবল মৃত থাকে, যদি তার জন্য কেউ অপেক্ষা না করে!"
সুন্দরবনের এক অলিখিত নিয়ম—বাঘ বড় শিকার করলে কখনোই একবারে খায় না। সে নিজের খাবার রেখে আসে, পরে খেয়ে শেষ করবে বলে। সেই আধখাওয়া মৃতদেহই মড়ি নামে পরিচিত। কিন্তু, সুন্দরবনের এই তত্ত্ব উত্তরদিনাজপুরের ছোট্ট মফস্বল শহর হেমতপুরের মানুষের রাতের ঘুম কেড়ে নিল কেন?
হেমতপুরের এক ভয়ঙ্কর গোপনীয়তা: মড়িক্ষণ
শহরের বয়স্করা জানেন, মড়িক্ষণ নামের এক রহস্যময় মুহূর্ত রয়েছে। এই সময় যদি কেউ মারা যায়, তবে তার দেহ চিতায় পোড়ানো হয় না, কিংবা মাটির নিচে সমাধিস্থও করা হয় না। বরং পরিবারের লোকেরা নীরবে, নিঃশব্দে সেই মৃতদেহ বাড়ির খোলা ছাদে, বাগানের কোণে কিংবা কোনো নিভৃত ঘরের এক কোণে ফেলে রেখে আসে।
কেন? কাদের জন্য রেখে আসে তারা?
কেনই বা কেউ এই প্রথার বিরুদ্ধে মুখ খোলে না?
হেমতপুরের মানুষ পশ্চিমের জঙ্গলের দিকে যেতে চায় না!
জঙ্গলের পথটাও যেন জনমানবশূন্য হয়ে পড়ে সন্ধ্যার পর। লোকে বলে, জঙ্গলের ভিতরে অমুয়ারা বাস করে! "অমুয়া"—ওরা কারা?কেউ জানে না, কিংবা বলা ভালো, যারা জেনেছে, তারা আর ফিরে আসেনি! বলা হয়, যদি অমুয়াদের মুখ একবার দেখো, তবে নিশ্চিত মৃত্যু তোমার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু ওরা কী? ওরা মানুষ, না অন্য কিছু?
এই অদ্ভুত শহরে আসে কলকাতার বাসিন্দা সুমেশ সান্যাল, তার স্ত্রী বীথি আর ছোট ছেলে টুপাই। তারা এসেছে সুমেশের মৃতপ্রায় মাসী নিহারিনী দেবীর শেষ সময়ে পাশে থাকতে। কিন্তু তাদের আসার পরই যেন বদলে যেতে থাকে চারপাশের পরিবেশ!
শহরের মানুষ তাদের এড়িয়ে চলতে শুরু করে, রাতের বেলা দিকশূন্য হয়ে বাতাসে যেন ফিসফিস আওয়াজ ভেসে বেড়ায়—
"ওরা এসেছে... এবার কিছু একটা ঘটবেই!"
নিহারিনী দেবীর মৃত্যুর পর ঠিক কী ঘটল, যা বদলে দিলো হেমতপুরের সবকিছু? ভুল করে এমন কিছুকে মুক্ত করে দিলো সুমেশ ও বীথি, যার জন্য পুরো শহরকে দিতে হবে চরম মূল্য!
অতীতের কোনো ঘটনা কি আজও অভিশাপ হয়ে রয়ে গেছে?