গোপন ফাইল, অভিশপ্ত বাড়ি ও চারটি অনবদ্য রহস্য—গোপার অনুসন্ধানে উন্মোচিত এক অন্ধকার জগৎ

রহস্য সবসময়ই চোখের সামনে লুকিয়ে থাকে, কিন্তু শুধুমাত্র তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণই পারে তাকে উন্মোচন করতে। ঠিক তেমনই, চারটি ভিন্ন ঘটনার আড়ালে এক চাঞ্চল্যকর সত্য লুকিয়ে আছে, যার সমাধানে নামতে হবে গোপাকে।

প্রথম গল্প: রবি ঠাকুরের সূত্রে

এক শীতের সকালে ডিসিডিডি-র ডাকে হোমিসাইড অফিসার অনুরাগ নন্দী ছুটে যান এক জোড়া খুনের তদন্তে। বিলেত ফেরত এক বিধবা ও তার তরুণী কন্যাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে বেহালার বরিশার বাড়িতে। লোকাল পুলিশ ধরেই নিয়েছে, হত্যার পেছনে আছে যৌন হেনস্থার ব্যর্থ প্রচেষ্টা। কিন্তু সত্যি কি তাই? মেয়েটির মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া একটি ছবি কী ইঙ্গিত দিচ্ছে? অনুরাগ সমস্ত অডিও রেকর্ড শুনিয়ে গোপার কাছে রহস্যের সূত্র খোঁজেন। গোপা এক মুহূর্তেই সমাধান খুঁজে পায়—সূত্র লুকিয়ে আছে রবীন্দ্রনাথের লেখায়!

"প্রকৃত রহস্য সমাধানের জন্য কেবলমাত্র প্রমাণ নয়, প্রয়োজন গভীর পর্যবেক্ষণ ও সাহিত্যজ্ঞানও।"

দ্বিতীয় গল্প: হে অতীত, কথা কও

কালিপূজোর রাতে ডায়মন্ড হারবারের এক প্রাচীন বাড়ির অভিশপ্ত ইতিহাসের সম্মুখীন হয় অনুরাগ ও গোপা। স্থানীয় বিশ্বাস, এক মুসলিম মাঝির অভিশাপে দীর্ঘদিন ধরে চলেছে এক মিশ্র পরিবারের দুর্ভাগ্য, যেখানে ব্রজেন্দ্র নামে এক বৃদ্ধের জীবন পরিণত হয়েছে একাকীত্বের এক ভয়াবহ বন্দিত্বে। কিন্তু এই অলৌকিক কাহিনির আড়ালে কি সত্যিই অতৃপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে? নাকি অতীতের ইতিহাসের গোপন কোন অধ্যায় রয়েছে, যা অপেক্ষা করছে উন্মোচিত হওয়ার? গোপা যখন সত্যের খোঁজে নামে, এক অবর্ণনীয় সত্য বেরিয়ে আসে—যা রক্ত হিম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

তৃতীয় গল্প: মধুর প্রতিশোধ

একদিন আচমকাই গোপার কাছে আসে মধুশ্রী, এক মোহময়ী যুবতী, যার কথায় রহস্যের আভাস। সে তার স্বামী সন্দীপনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে বলে। আশ্চর্যজনকভাবে, ঠিক একই দিনে সন্দীপন নিজেও গোপার কাছে আসে, জানায় তার মৃত্যু ভয়! পরের দিনই ঘটে এক মারাত্মক দুর্ঘটনা—সন্দীপন নিহত হয়। কিন্তু এটা কি শুধুই দুর্ঘটনা? নাকি নিখুঁতভাবে পরিকল্পিত এক হত্যাকাণ্ড? সন্দীপনের সৎ মা, পরিবারের পরিচারক, এমনকি স্ত্রী মধুশ্রী—সবাই সন্দেহের আওতায়। খুনের এই গোলকধাঁধার সমাধান কি গোপা খুঁজে পাবে? নাকি প্রতিশোধের এই অদৃশ্য খেলা আরও জটিল হয়ে উঠবে?

"প্রতিশোধ এক অদ্ভুত শক্তি, যা কখনো ন্যায়ের মুখোশ পরে আসে, আবার কখনো অন্ধকারের ছায়ায় হারিয়ে যায়।"

চতুর্থ গল্প: মায়াবি মারিচ

এক মহান দেশপ্রেমিকের রহস্যময় মৃত্যুর গোপন ফাইল উধাও হয়ে গেছে সরকারি মহাফেজখানা থেকে। সন্দেহের তির বিখ্যাত এক ঐতিহাসিকের দিকে, যার নাম জড়িয়ে আছে এক কুখ্যাত সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথেও। দীর্ঘ পাঁচ বছর অনুসন্ধানের পর পাওয়া যায় ঐ ঐতিহাসিকের হদিস, কিন্তু ঠিক তখনই তিনি আবারও অন্তর্ধান করেন। এবার অভিযোগের আঙুল ওঠে গোপার দিকেই। অন্যদিকে, কলকাতার বুকে একের পর এক প্রাণনাশের চেষ্টা হতে থাকে নন্দী দম্পতির ওপর। গোপা কি সত্যিই এই ঘটনার সাথে জড়িত? না কি সে এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার? সেই গোপন ফাইল উদ্ধার করা কি সম্ভব? নাকি তার পেছনে লুকিয়ে আছে এমন এক সত্য, যা প্রকাশিত হলে কেঁপে উঠবে গোটা দেশ?

"সব সত্য একদিন প্রকাশ পায়, কিন্তু কোনো কোনো সত্যের প্রকাশ মানেই ধ্বংসের সূচনা।"