Writer : Debasree Chakraborti
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Essays>Women Related
- Publication Year : 2017
- ISBN No : 81-87098-67-8
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 220
- Weight : NA
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
গুহাবাসী মানুষ থেকে বর্তমান মানব সভ্যতার চলমান স্রোতের বিভিন্ন ধারায় ধর্ষনের বিভিন্ন রূপকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই গ্রন্থে। শুধু তো নারী না, শিশু এবং পুরুষিদেরও বিভিন্ন ভাবে ধর্ষণের শিকার হতে হয়। পরিবার থেকে বিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি থেকে কর্মক্ষেত্রে ধর্ষনের হিংস্র চিত্রকে এই গ্রন্থের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
যেকোনো বড়ো ঘটনা থেকে খুব সুন্দর ভাবে আমাদের দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া হয়। সরকার আসে এবং সরকার যায়, ধর্ষণ নিয়েও রাজনীতি চলতেই থাকে। ধর্ষিতারা কোনো ভাবেই সুবিচার পান না। ধর্ষনের সেকাল ও একাল লিখতে গিয়ে দীর্ঘদিন গবেষণা করতে হয়েছিল, তখন জানতে পেরেছিলাম যে আমাদের দেশের কোনো মেয়ে সেই অর্থে \"ভার্জিন\" নয়। কারন শৈশব থেকে যৌবনের মাঝের এই পর্যায়ে সে তার পরিবারের খুব চেনা কোনো সদস্যের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, তারপর বিয়ের পর তো বৈধ ধর্ষনের লাইসেন্স রয়েছেই। তাছাড়া, পথে ঘাটে কতোবার কতো রকম ভাবে যে যৌন লালসার শিকার হতে হয় তার কোনো ইয়ত্তা নেই। ইচ্ছের বিরুদ্ধে যৌনতার শিকার যদি ধর্ষণ হয়, তাহলে ধর্ষণ এর চোরা স্রোতে আমরা ভাসমান। শুধু নারী বললে খুব ভুল হবে, পুরুষদেরও একই হাল। একটি বালককেও বালক বয়স থেকে যৌবনে পদার্পণের পথে মাসি,পিসি,দিদি এরকম বহু নিকটজনের লালসার শিকার হতে হয়।
আমাদের দেশে প্রতি ১৬ মিনিটে একজন ধর্ষনের শিকার হয়, কিন্তু তারা কোনো সুবিচার পাননা। আরো কতো কতো যে জায়গা আছে, মানচিত্রে লাল কালি দিয়ে দাগ দিতে গেলে দেখা যাবে সমগ্র মানচিত্র লাল হয়ে গেছে, কিন্তু এরা কোনো সুবিচার পায়নি। আবার অনেক ধর্ষক তো নির্বাচনে দাঁড়ানোর টিকিটও পেয়ে গেছেন। বিচারের নামে প্রহসন চলছে। সব ধর্ষণের খবর আমরা জানতেও পারিনা। রাজনৈতিক প্রয়োজনে কিছু সামনে আনা হয়, চারজনের মধ্যে দুইজনকে এনকাউন্টার করে সরিয়ে দেওয়া, আর তারপর জনতার হাততালি। কিন্তু ধর্ষণ চলতেই থাকে, ধর্ষিতারা কোনো সুবিচার পান না। বাড়ির ছোট্ট ছেলেটির মধ্যে হুটকরে কিছু যৌনাচারের ইঙ্গিত ফুটে উঠল, কিংবা হুটকরে সে নিজেকে সবার থেকে গুটিয়ে ফেলল। এরকম কিছু ঘটলে শিশুটির সাথে অবশ্যই কথা বলুন। একটি মেয়ের মতো একটি ছেলেও কিন্তু বিকৃত যৌনাচারের শিকার হতে পারে। মাসি,পিসি,বড়ো দিদি থেকে কাকিমা, জেঠিমা, মামিমার মতো কেউ একজন এখানে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে। আমার একজন বিখ্যাত সাংবাদিক বন্ধুর মুখে শুনেছিলাম যে তিনি অত্যন্ত ছোটোবেলায় তার দিদির বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়েছিলেন। ভদ্রলোক যখন আমাকে কথা গুলো বলছিলেন, তার গলা কাঁপছিল। আজ আমার মাতৃসমা একজন মহিলার কাছ থেকে জানতে পারলাম, একটি ছেলে নাকি দীর্ঘদিন ধরে নিজের মায়ের বিকৃত যৌনাচারের শিকার হচ্ছে। মা নাকি তাকে বুঝিয়েছে যে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার, এতে কোনো পাপ নেই। আমার মতে প্রতিটি মানুষের মধ্যে বেদান্তের অমৃত বানী ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।কারন মানুষ নিজের মনুষ্যত্ব হারিয়ে পশুতে পরিণত হয়েছে। এইভাবে চললে মূল্যবোধ বলে আর কিছু থাকবে না।
ধর্ষণের সেকাল ও একাল বইটি দীর্ঘদিন গবেষণা করে লিখেছিলাম। বইটি প্রকাশিত হয়েছিল সাহিত্যলোক থেকে। এই বইটির প্রুফ দেখেছিলেন প্রকাশক নেপাল বাবু নিজেই। মাঝে মধ্যে ডেকে পাঠাতেন। নিজেই সব কিছু করতেন, কিন্তু খুব সুন্দর করে আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়ে ঠিকটা শিখিয়ে দিতেন। একদিন উনি আমাকে বলেছিলেন, \"তসলিমাকে বাঁচানোর জন্য বহু লোক আছেন, কিন্তু তুমি যে এসব লিখেছ, তোমাকে বাঁচাবে কে? এই কয়েকটা জায়গা বরং বাদ দাও। আমি তোমার মঙ্গল চাই বলেই বলছি।\" আমি উত্তরে বলেছিলাম, লিখেছি যখন রেখেই দিন। যদি কিছু হয়, তখন দেখা যাবে। তিনি অবশ্য আমার কথা রেখেছিলেন। একটা শব্দও বাদ দেননি। আপনারা বইটা পড়ে দেখতে পারেন।