Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Kalmanjir

Writer : Prithwis Sen

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Self Published by Prithwis Sen

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Historical Fiction
  • Publication Year : 2024
  • ISBN No : NA
  • Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : NA
  • Weight : 515 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.2 Inch
MRP : ₹399.00/- Discount : 20% Off
Your Price : ₹319.00/-

About the Book

জীবন এক অদ্ভুত যাত্রা। শৈশবে শুরু, হেসে খেলে বেড়িয়ে সময়টুকু কাটিয়ে দেওয়া। আরেকটু বড় হলে পরিবার ছেড়ে বৃহত্তর জগতে পদার্পণ করা। বিদ্যালয় বন্ধু খেলা ইত্যাদি বিভিন্ন জগতের সঙ্গে পরিচিতি হওয়া। ধীরে ধীরে বালক জীবন ছেড়ে কৈশোরে পদার্পণ। অতঃপর? কাউকে ভালো লাগা, তার সঙ্গে ক্ষণিকের দৃষ্টি বিনিময়, এতেই স্বর্গ সুখ! অতঃপর যৌবন। প্রেম, বিবাহ। সংসার জীবনে প্রবেশ। এইখানেই বদলে যায় জীবন। সমস্ত ভালো লাগা পছন্দ অপছন্দের উপরে ভারী হতে থাকে দায়িত্ববোধ। যিনি যত বড় পদে আসীন হন, তার দায়িত্ব তত বড়। প্রত্যকে আমরা নিজের নিজের জীবন যুদ্ধে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অন্তর্ঘাত এবং বাইরের শক্তির আগ্রাসন সমান তালে চলতে থাকে। সব সামলাতে সামলাতে জীবন জেরবার হয়ে যায়। এবং তিনি যদি এক প্রজানুরাগী সম্রাট হন, তাহলে? তার জীবন হয়ে যায় অন্যরকম। এত এত প্রজার ভালো মন্দ, তাদের জন্য সুবিচার। এসবের সঙ্গে রাষ্ট্রের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা। অন্তর্ঘাত প্রতিরোধের সঙ্গে বাইরের আক্রমন প্রতিরোধ, সবই তার কাজ। স্বাভাবিকভাবেই নিজের ব্যক্তিগত জীবনে সময় কমে যায়। অনেক সময় নিজের জন্য কিছুই থাকে না প্রায়। রাষ্ট্রহিতে এক সর্বস্ব প্রান তাদের জীবন। একরকম একাকী হয়ে সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রনে রাখতে হয়। 


আমরা বিভিন্ন কাহিনীর মাধ্যমে সেই দিগ্বিজয়ী সম্রাটদের জীবনী সম্পর্কে জেনে রোমাঞ্চিত হই; তখন কিছুটা যেন অতিমানব হয়ে তারা ধরা দেন আমাদের চোখে। ভাবতে থাকি তাদের জীবন কতই না মধুর ছিল। কিন্তু তারাও মানুষ, আমাদের মতই তারাও। তাদের জীবনেও রয়েছে উত্থান পতন; আবেগ ভালো লাগা মন্দ লাগা ইত্যাদি। এইসব অনুভূতি মিলিয়েই দিগ্বিজয়ী দুই সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত এবং চন্দ্রবর্মণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনীটি। অতি পরাক্রমি দুই সম্রাটের মানবিক কাহিনী কালমঞ্জীর”। কালমঞ্জীর চন্দ্র বিজয় ; স্থানঃ মগধ এবং পুষ্কর্ণা ; সময়কালঃ ৩০০ খৃষ্টাব্দ (আনুমানিক)


ভারতের বুকে এই সময়ে দুই শক্তিশালী রাজ্যের অভ্যুত্থান ঘটেছে। এদিকে মগধে গুপ্তবংশের মহান রাজা সমুদ্রগুপ্ত এবং ওদিকে পুষ্কর্ণা প্রদেশে শক্তিশালী রাজা চন্দ্রবর্মণ। দুই প্রবল শক্তিশালী রাজ্যর দ্বন্ধের লড়াই, তাদের বন্ধুত্বের নিদর্শন, তৎসঙ্গে দুই নগরীর জীবন ধারা, উত্থান পতনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সমগ্র কাহিনীটি কয়েকটি অধ্যায়ে বিভক্ত করে বর্ণিত করা হল -

> প্রথম অধ্যায়ে সমুদ্রগুপ্তের বাল্যকাল, বিভিন্ন আচার্য সান্নিধ্যে তাঁর শিক্ষা, তাঁর বড় হয়ে ওঠা, ভবিষ্যতের পত্নী দেবী দত্তার সঙ্গে প্রথম দেখা; ভালোলাগা, অতঃপর প্রেম এবং বিবাহ।

> দ্বিতীয় অধ্যায়ে সমুদ্রগুপ্তের দ্বায়িত্বশীল যুবক হয়ে ওঠা, পিতা চন্দ্রগুপ্তের সঙ্গে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেওয়া, রাজসভায় বসে সভার কাজ শেখা, বিভিন্ন বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন। উচ্চশিক্ষা গ্রহন। 

> তৃতীয় অধ্যায়ে পুষ্কর্ণা প্রদেশের আত্মপ্রকাশ, মহারাজ সিংহবর্মণের সম্ভ্রান্ত বণিক থেকে রাজা হয়ে ওঠা। অতঃপর তাঁর দুই পুত্র চন্দ্রবর্মণ এবং নরবর্মণকে সঙ্গে নিয়ে প্রবল প্রতাপশালী রাজা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। পুষ্কর্ণা এবং মগধের মুখোমুখি হওয়া, যুদ্ধ পরিস্থিতি। এবং শেষ অবধি সন্ধি। দুই প্রদেশের মধ্যে বন্ধুত্বর সূত্রপাত। 

> চতুর্থ অধ্যায়ে সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যু। বড়ভাই কচগুপ্তের পরবর্তী সম্রাট হিসেবে অভিষেক। এবং সিংহাসনে আরোহণ করেই ভ্রাতা সমুদ্রগুপ্তকে বন্দী করার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর সমুদ্রগুপ্তের পলায়ন।

> পঞ্চম অধ্যায়ে মগধে বহিঃশত্রুদের আক্রমণ, বিধ্বস্ত মগধের বিপদে পুষ্কর্ণা প্রদেশের সহায়তা। অতঃপর মগধের সম্রাট হিসেবে সমুদ্রগুপ্তের অভিষেক। শত্রু দমন। তক্ষশীলা প্রদেশ অভিযান। মহারাজ চন্দ্রবর্মণের বাহ্লিক প্রদেশ বিজয়।

> ষষ্ট অধ্যায়ে সমুদ্রগুপ্তের দিগ্বিজয়, দাক্ষিণাত্য প্রদেশের বিভিন্ন রাজ্য জয়। মহাকান্তার প্রদেশের প্রবল পরাক্রান্ত ব্যাঘ্ররাজার সঙ্গে সন্মুখ সমর।\r\n

> সপ্তম অধ্যায়ে উজ্জ্বয়িনী অভিযান এবং মগধ রাজ্যে নবরত্ন নিয়োগ।

> অষ্টম অধ্যায়ে সমুদ্রগুপ্তের সঙ্গে নিজ ভাইদের বিরোধ, এবং তাঁর বিজয়।

> নবম অধ্যায়ে শ্রীলঙ্কার রাজার অনুরোধে গয়ায় বৌদ্ধ মঠ স্থাপন, অশ্বমেধ যজ্ঞ। এবং পুষ্কর্ণা প্রদেশের সঙ্গে সংঘর্ষ। মহারাজ চন্দ্রবর্মণের হার।\r\n

> > শেষ অধ্যায়ে হরিসেন কর্তৃক প্রয়াগ প্রশস্তি স্থাপন।