সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় তখনও সত্যজিৎ রায়ের কাজের মুখোমুখি হননি বা ফেলুদার দুঃসাহসিক কাজের মধ্যে পড়েননি। তারপর, এক শুভদিনে, সত্যজিৎ \'তোপসে\'-কে চিত্রিত করার প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে আসেন—প্রিয় চাচাতো ভাই এবং আইকনিক স্লিউথ, ফেলুদার অবিচল সহচর। সম্পূর্ণরূপে অফ-গার্ড ধরা, সিদ্ধার্থ নিজেকে মুহূর্ত এড়াতে আকুল আকুলতা খুঁজে পায়। এরপর যা তার জীবনের ইতিহাসে একটি উজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে ওঠে। তপেশ রঞ্জন মিত্তরের ভূমিকায় মূর্ত হয়ে, সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জি একটি গভীর রূপান্তরের মধ্য দিয়েছিলেন। সত্যজিৎ ও অগণিত সিনেফিলের চোখে তিনি হয়ে ওঠেন নিশ্চিত তোপসে। সেই গঠনমূলক বছরগুলিতে সত্যজিৎ এর প্রভাব সিদ্ধার্থের জীবনে একটি অমার্জনীয় চিহ্ন রেখে গিয়েছিল, যা তার সত্তার প্রতিটি দিককে পরিব্যাপ্ত করেছিল। স্টক মার্কেটে তার উদ্যোগ থেকে শুরু করে একজন বিখ্যাত রেস্তোরাঁ এবং চিত্তাকর্ষক পাবলিক স্পিকার হিসাবে তার প্রচেষ্টা পর্যন্ত, সত্যজিৎ রায়ের প্রতিধ্বনি সিদ্ধার্থের বিভিন্ন সাধনা জুড়ে প্রতিধ্বনিত হয়। তাঁর উদ্বোধনী স্মৃতিকথা, \'ফেলুদার প্রথম তোপসে\', \"জয় বাবা ফেলুনাথ\" এবং \"সোনার কেল্লা\" চলচ্চিত্রে কাটানো মুগ্ধকর মুহূর্তগুলির একটি মর্মস্পর্শী স্মৃতি হিসাবে কাজ করে, যা সত্যজিৎ রায়ের পরামর্শদাতা এবং সন্দীপ রায়ের সাথে তার স্থায়ী বন্ধুত্বের রূপান্তরমূলক প্রভাবের সাথে জড়িত। সন্দীপ রায়ের লেখা একটি হৃদয়গ্রাহী মুখপাত্রের সাথে, যিনি বইটিকে \'টাইম ক্যাপসুল\' হিসাবে যথাযথভাবে চিহ্নিত করেছেন এবং উদারভাবে বিরল ফটোগ্রাফের একটি ভাণ্ডার অন্তর্ভুক্ত করেছেন, এই সাহিত্য অফারটি সত্যজিৎ রায়ের ভক্তদের জন্য অবশ্যই পাঠযোগ্য হয়ে উঠেছে।

“আমি খুব খুশি হয়েছি ‘ফেলুদার প্রথম তোপ্‌সে’ বইটা বের হচ্ছে। কারণ বহুদিন থেকেই সিদ্ধার্থ বলছিল, সত্যজিৎ রায়ের তোপ্‌সেহিসেবে ওর অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু লিখবে। আগে যখন আমি ওর লেখা শেয়ার বাজারের নিউজ লেটারগুলো পড়েছি, দেখেছি প্রত্যেকটাতেই ও সত্যজিৎ রায়কে সবদিক থেকে জড়িয়ে নিত। এটাও একটা খুব মজার ব্যাপার। শেয়ার বাজারে নিউজ লেটার পড়ছি, হঠাৎ তার মধ্যে সোনার কেল্লা চলে এল, ফেলুদা চলে এল, সত্যজিৎ রায় চলে এলেন। \r\n

এই বইটা একটা টাইম ক্যাপসুল। বইটার খুব প্রয়োজন ছিল। এতজন ইন্টারেস্টিং মানুষ ইনভলভড ছিলেন! আমার মনে হয়েছে, এই বইটা আট থেকে আশি সব বয়সের পাঠকেরই ভালো লাগবে।...”\r\n

-- সন্দীপ রায়

\r\n