Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Maharaja Dahir Sen

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Basak Book Store

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Historical Fiction
  • Publication Year : 2024
  • ISBN No : NA
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 368
  • Weight : 515 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
MRP : ₹375.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹319.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

       বহুকাল আগের কথা, মহা প্রলয়ের পর যখন ব্রহ্মা আবার নতুনভাবে পৃথিবীকে সাজিয়ে তুলছেন, তখন অসিত নামে এক রাজার রাজত্ব শুরু হয়। অত্যন্ত ঈশ্বর বিশ্বাসী এবং মহাদেবের পরম ভক্ত এই রাজা চেয়েছিলেন যে তাঁর যেন তাঁর আরাধ্যের মতো পুত্র প্রাপ্তি ঘটে। মহাদেব তাঁর ইচ্ছা পূরণ করেন এবং দেবলকে পুত্ররূপে তিনি পান। দেবল ছিলেন বিষ্ণুর উপাসক। তাঁর ধ্যান জ্ঞান সব কিছু ছিলেন ভগবান বিষ্ণু। একবার তিনি গন্ধমাদন পর্বতে বসে বিষ্ণুর তপস্যা করছিলেন। তখন স্বর্গের অস্পরা রম্ভার প্রেম নিবাদনে সাড়া না দেওয়ার কারণে তাঁকে অস্পরার অভিশাপ ভোগ করতে হয়। বহুকাল পর ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় অবশ্য তিনি সেই অভিশাপ মুক্ত হন। 
       দেবল বা অষ্টাবক্র ঋষির নামে ছিল সিন্ধুর বিখ্যাত বন্দর নগরী দেবল। কথিত ছিল এই নগরীর মাঝে যে বিশাল মহাদেবের মন্দির ছিল, সেই মন্দিরের চূড়া যতক্ষন অক্ষত ছিল, ততক্ষন এই নগরীর পতন সম্ভব হয়নি। দেবলবাসীরা বীর বিক্রমে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিছুতেই তাদের পরাজয় হচ্ছে না দেখে মহম্মদ বিন কাশেম নিজেও অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে উঠেছিলেন। সব স্থানেই তো ঘরের শত্রু বিভীষণ থাকেন। সেরকমই দেবলের বিভীষণ এসে কাশেমকে জানান যে মন্দিরের চূড়া এবং ধ্বজা অক্ষত থাকলে নগরীর পতন সম্ভব নয়। এবং তাই হয়েছিল। এই মন্দির ধ্বংসের সঙ্গে সঙ্গেই দেবলের পতন হয়। মন্দিরের চূড়া ধ্বংসের জন্য পুরস্কার হিসেবে কাশেম তাঁর প্রকৌশলীকে সেই সময় "দশ হাজার দিরাম" দিয়েছিলেন।
        দ্বাপরযুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কৃপায় দেবল অভিশাপ মুক্ত হয়েছিলেন। কলিযুগের দেবল কোনদিন মুক্তি পাবে কি না জানা নেই ! 

এই উপন্যাসের সূচনা হয়েছে ৬৬২ সালে কিকানের ওপর সংঘটিত প্রথম আরব আক্রমণের বর্ণনার মাধ্যমে। ইতিহাস বইগুলোতে যেভাবে বলা হয়ে থাকে যে আরব আক্রমণ দাহিরের রাজত্বকালে শুরু হয়েছিল, সেই প্রচলিত ধারণা এখানে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। নির্ভরযোগ্য গবেষণালব্ধ তথ্যের আলোকে প্রমাণ করা হয়েছে যে কিকানের ওপর প্রথম আক্রমণ সংঘটিত হয়েছিল এবং সেই আক্রমণে আরবরা পরাজিত হয়েছিল। দাহির সেনের রাজত্বকাল, মহম্মদ বিন কাসেমের আগমন এবং দেবল বন্দরের ঐতিহাসিক পতনের বর্ণনা উপন্যাসে বিশদভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এক কিংবদন্তী মন্দিরের ধ্বংস এবং তার সঙ্গে দেবল নগরীর পতনের সংযোগ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে এক গা শিউরে ওঠা শৈলীতে। দেড় হাজার বছর ধরে থর মরুভূমির বুকের মধ্যে সিন্ধুর ইতিহাসের তিনটি রক্তাক্ত অধ্যায়ের স্রোত সমান্তরাল ভাবে বয়ে চলেছে। এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র সিন্ধুদেশের শেষ স্বাধীন হিন্দু রাজা মহারাজা দাহির সেন। মহারাজা দাহিরের সময়কে কেন্দ্র করে ৬৬২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সিন্ধুদেশের দীর্ঘ চলমান সময়ের ইতিবৃত্ত এই উপন্যাস

৭১২ খ্রিঃ আরবের সিন্ধুজয়ের অপমান আজও সিন্ধুবাসী ভুলতে পারেননি, বর্তমান সময়ে তাঁরা মহারাজা দাহিরকে সামনে রেখে সিন্ধুদেশ আন্দোলন শুরু করেছেন। সাম্প্রতিক সিন্ধুদেশ আন্দোলনকে উপন্যাসের অন্তিম অংশে যুক্ত করা হয়েছে সচেতনভাবে। কারণ, আজও মহারাজা দাহিরকে সিন্ধুদেশের মানুষ তাঁদের সংস্কৃতির প্রতীক এবং জাতীয় প্রতিনিধিরূপে বিবেচনা করেন। দাহিরের স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই এই আন্দোলনের ধারা বহমান রাখা হয়েছে।

উপন্যাসটি ইতিহাস, পৌরাণিক বিশ্বাস, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র এবং জাতিগত আত্মপরিচয়ের প্রশ্নকে একসূত্রে গেঁথে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যা একাধারে পাঠককে জ্ঞানের দিক থেকে সমৃদ্ধ করে এবং ভাবনার খোরাক জোগায়।