This is the official Bengali translation of the book "Your Prime Minister is Dead" by Anuj Dhar.

ললিতা শাস্ত্রী যখন তার স্বামীর মৃতদেহ দেখেন, তখন মনে হয় না তিনি মারা গেছেন মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার মুখ ছিল গাঢ় নীলাভ এবং ফোলা। শরীর ফুলে গিয়েছিল এবং অদ্ভুত কাটা দাগ ছিল। চাদর, বালিশ, কাপড় সবই রক্তে ভিজে গেছে। পরিবারের সদস্যরা সন্দেহ প্রকাশ করতেই, হঠাৎ লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মুখে চন্দনের পেস্ট লেগে যায়। এবং তবুও, ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু সত্যিই হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়েছিল কি না, বিতর্কটি ধারণ করা যায়নি। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুতে কেজিবি, সিআইএ বা কোনও অভ্যন্তরীণ হাতের অভিযোগ যথাসময়ে আবির্ভূত হয়েছিল চিরস্থায়ী শাস্ত্রীর মৃত্যু রহস্যের এই প্রথম ব্যাপক গবেষণায়, অনুজ ধর সরকারী সংস্করণের বিরুদ্ধে একটি বিরক্তিকর বর্ণনাকে একত্রিত করেছেন। মৃত্যুর কয়েক মুহূর্ত আগে কেন একটা চিরকুটে লিখলেন, “আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে? কে সরালো জলের ফ্লাস্ক আর শাস্ত্রীজীর ব্যক্তিগত ডায়েরি ? কেন নীল হয়ে গেল শাস্ত্রীজীর মৃতদেহ? তাসখন্দে কি সত্যিই দেখেছিলেন নেতাজীকে? শাস্ত্রীজীর মৃত্যুরহস্যের তদন্তে কেন বারবার বাধা দিলেন ইন্দিরা গান্ধী? পালাম বিমান বন্দরে শোকের আবহাওয়ায় ইন্দিরার মুখে হাসি কেন? কেন মৃতদেহের পোস্টমর্টেম হল না? কেন সপরিবারে দুর্ঘটনায় মরতে হল ডাঃ চুঘকে? কেন দুর্ঘটনায় দুটি পা-ই হারাতে হল রাম নাথকে?

সবচেয়ে সাহসী। সবচেয়ে বলিষ্ঠ । সবচেয়ে সহজ, সরল, সহানুভূতিশীল প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ভারত-পাক শান্তি চুক্তি সম্পাদন করতে গেলেন তাসখন্দ। ফিরলেন ফুলে ফুলে সজ্জিত মৃতদেহ হিসেবে। এ মৃত্যু কি স্বাভাবিক? নাকি খুন? দায়ী কে? কে জি বি? সি আই এ? ত্রৈলোক্যনাথ কল? মহম্মদ জান? ধরমদাস তেজা? নাকি ইন্দিরা গান্ধী ? সব প্রশ্নের গবেষণালব্ধ উত্তর ‘তোমার প্রধানমন্ত্রী মৃত।’