রাম জন্মভূমি বা \'রামের জন্মস্থান\' হল সেই স্থান যা হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, হিন্দু দেবতা বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের জন্মস্থান। রামায়ণে বলা হয়েছে যে রামের জন্মস্থানের অবস্থান সরায়ু নদীর তীরে \"অযোধ্যা\" নামক একটি শহরে। আধুনিক অযোধ্যা উত্তর ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত। রামায়ণে উল্লিখিত অযোধ্যা আধুনিক শহরের মতোই কিনা তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছু হিন্দু দাবী করেন যে রামের জন্মস্থানের সঠিক স্থানটি বর্তমান অযোধ্যায় যেখানে বাবরি মসজিদ এক সময় দাঁড়িয়েছিল সেখানেই রয়েছে, এটি প্রস্তাব করা হয়েছে যে রামের মন্দিরটি পূর্বে বাবরি মসজিদের মতো একই স্থানে বিদ্যমান ছিল যতক্ষণ না এটি মসজিদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছিল, এই ধারণাটি ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের একটি আদালতের নির্দেশিত প্রতিবেদন দ্বারা সমর্থিত ছিল যা মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের চারপাশে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের পরে। মসজিদ, যদিও এই মন্দিরের অস্তিত্ব এবং রিপোর্টের উপসংহার বিতর্কিত।

1949 সালে মসজিদে রাম ও সীতার মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং পরদিন থেকে ভক্তরা জড়ো হতে শুরু করে। 1992 সালে, হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দ্বারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফলে ব্যাপক হিন্দু-মুসলিম সহিংসতা শুরু হয়। সম্পত্তি নিয়ে আইনি বিরোধ ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছিল, যেখানে আগস্ট থেকে অক্টোবর 2019 পর্যন্ত শিরোনাম বিরোধ মামলার শুনানি হয়েছিল। 9 নভেম্বর 2019-এ, সুপ্রিম কোর্ট হিন্দু দলগুলির পক্ষে রায় দেয় এবং একটি হিন্দু মন্দির নির্মাণের জন্য জমিটি একটি ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দেয়। আদালত মুসলমানদের একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য ৫ একর জমি প্রদান করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন। আদালত অনুমান করেছেন যে মসজিদের ভিত্তিটি 12 শতকের একটি বৃহৎ প্রাক বিদ্যমান কাঠামোর দেয়ালের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল যার স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যগুলি হিন্দু ধর্মীয় উত্সের ইঙ্গিত দেয়। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে 12 শতকের প্রাক বিদ্যমান কাঠামোর নির্মাণ এবং 16 শতকের মসজিদ নির্মাণের মধ্যে সময়ের ব্যবধান রয়েছে এবং এই যুগের অন্তর্নিহিত কাঠামোর ধ্বংসের কারণ সম্পর্কে কোনও উপসংহার টানা যাবে না। এএসআই রিপোর্ট। মন্দিরটি পরে 2024 সালের জানুয়ারিতে উদ্বোধন করা হয়েছিল।