Writer : Debasree Chakraborti
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Historical Fiction
- Publication Year : 2024
- ISBN No : 978-93-91506-92-6
- Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 240
- Weight : NA
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
১৯৪৬ সালের কোজাগরী পূর্ণিমার রাতে শুরু হয় নোয়াখালীর সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর মুসলিম লিগের নারকীয় অত্যাচার। সেই ঘটনার ইতিবৃত্ত এই উপন্যাসের প্রধান উদ্দেশ্য, ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায়কে তুলে ধরা, এখানে কোনো ধর্মের মানুষের ভাবাবেগে কোনোরকম আক্রমণ করা হয়নি।
এই রাজনৈতিক ইতিহাস শোষকের বিরূদ্ধে শোষিতের ছিল না। যদি তাই হতো, তাহলে নিম্নবর্ণের এবং দরিদ্র হিন্দু সম্প্রদায় আক্রান্ত হতো না। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত নোয়াখালীর ইতিহাসের জীবন্ত দলিল এই গ্রন্থ। ইতিহাসের এক বিশেষ অধ্যায় থেকে আগত এই উপন্যাসের ছায়া মানবেরা প্রত্যেকেই এক একটি অতি বাস্তব অথচ কাল্পনিক চরিত্র।
নোয়াখালী দাঙ্গা (১৯৪৬) ছিল ব্রিটিশ ভারতের অন্তিম পর্যায়ে সংঘটিত এক মর্মান্তিক ও ঐতিহাসিক ঘটনা, যা তৎকালীন বেঙ্গল প্রদেশের নোয়াখালী জেলা ও পার্শ্ববর্তী ত্রিপুরা অঞ্চলে সংঘটিত হয়েছিল। ১০ অক্টোবর ১৯৪৬ সালে শুরু হয়ে প্রায় এক মাসব্যাপী চলা এই দাঙ্গা মূলত মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠদের দ্বারা হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর সংগঠিত আক্রমণ ছিল, যা হত্যাযজ্ঞ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ ও জোরপূর্বক ধর্মান্তরের মতো নিষ্ঠুর ঘটনার মাধ্যমে বিস্তৃত হয়।
ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে (১৬ আগস্ট ১৯৪৬)-এর পরবর্তী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পটভূমিতে, নোয়াখালীর গ্রামীণ সমাজে এই দাঙ্গা পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সরকারি হিসাবে প্রায় ৫,০০০ হিন্দু নিহত হলেও, বেসরকারি ও সাংবাদিক সূত্রে এই সংখ্যা ৭,০০০ থেকে ১০,০০০ পর্যন্ত ধরা হয়। প্রায় ৫০,০০০-এর বেশি হিন্দু বাস্তুচ্যুত হন, ২২৩টি গ্রাম ধ্বংস বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়, হাজারো ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং অসংখ্য নারীকে জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা হয়।
প্রশাসনের ব্যর্থতার প্রেক্ষিতে মহাত্মা গান্ধী নভেম্বর ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীতে পৌঁছে তিন মাসব্যাপী গ্রাম থেকে গ্রামে পদযাত্রা করে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেন। এই ঐতিহাসিক উদ্যোগ পরবর্তীতে “নোয়াখালী যাত্রা” নামে পরিচিত হয়।
নোয়াখালী দাঙ্গা ভারতের বিভাজনের পূর্বে বাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গভীর দাগ রেখে যায়। এই ঘটনাই পরবর্তী উদ্বাস্তু স্রোত, সাম্প্রদায়িক বিভাজন এবং স্বাধীনতার প্রাক্কালে রাজনৈতিক বাস্তবতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। এটি কেবল এক সহিংসতার পর্ব নয়, বরং একটি জাতির ভাগ্যনির্ধারক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।