বইটির মধ্যে থাকছে সর্বমোট ১৫টি কাহিনী। সমস্ত কাহিনীগুলি ৪টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথম অধ্যায়-- এই অংশে বর্ণিত হয়েছে নয়খানি কাহিনী। এই কাহিনীগুলিতে ধরা পড়েছে ভারতের ইতিহাসের এক যুগ সন্ধিক্ষণ। ভগবান তথাগতের জন্ম কাহিনীর বর্ণনা দিয়ে শুরু হচ্ছে এই অধ্যায়। এই সুবর্ণ সময়ে মগধের পরাক্রমি সম্রাট বিম্বিসার ভারতের বুকে অবতীর্ণ হয়েছেন। বর্ণিত হয়েছে সম্রাট বিম্বিসারের জন্ম এবং শিক্ষা। মগধ অধিপতি পিতা ভট্টির অকস্মাৎ হত্যা এবং মগধে শত্রুপক্ষের আক্রমণ। মগধের সিংহাসন অধিকারে ফিরিয়ে আনতে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন বিম্বিসার। অতঃপর বর্ণিত হয়েছে রাজধানী রাজগৃহের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস। দেখতে দেখতে মহাজনপদগুলিতে বাজল নির্বাচনের ঘণ্টি, সঙ্গে বাজল ঢোল, করতাল, এবং সম্রাটের চোখ দিয়ে নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ। গান্ধার অধিপতি পুক্কুসতির সঙ্গে বন্ধুত্ব, উত্তরাপথ পুনর্নির্মাণ, প্রাচীন মহাবিদ্যালয় পুষ্কলাবতী দর্শন। মহাবৈদ্য জীবকের শিশুকাল এবং তক্ষশীলা মহাবিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহন। কুমার অভয়ের জীবন কথা। বৈশালীর বিখ্যাত নগরনটি আম্রপালির জীবনে সম্রাট বিম্বিসারের আগমন। সব শেষে ধর্ম অনুরাগী হিসেবে বিম্বিসারের আত্মপ্রকাশ, হিন্দু ধর্ম, আজীবিক ধর্ম, জৈন এবং বৌদ্ধ ধর্মের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে তাঁর অনুদান। একের পর এক অদ্ভুত ঘটনার ঘনঘটা। মানবতা-শত্রুতা-বন্ধুত্বে- ভালবাসায়-শিক্ষায়-দ্বন্ধে-সংঘর্ষে-দায়বদ্ধতায় পরিপূর্ণ এই সময়ের কাহিনীগুলো।

দ্বিতীয় অধ্যায়-- রয়েছে অজানা সময়ের দুটি কাহিনী। ভিম্বেটকা গুহাতে দেখা যায় ব্যাধ রূপি পশুপতিনাথের একটি ছবি, কেন এই ছবিটি সেখানে অঙ্কিত রয়েছে? এই বিষয়ে একটি কাহিনীটি বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয় কাহিনীটি প্রাচীন মাহেঞ্জদার সভ্যতার এক কাহিনী। এই স্থান থেকে প্রাপ্ত এক নর্তকী মূর্তি (মতান্তরে দেবী মূর্তি) বিষয়ে কাহিনীটি বর্ণিত হয়েছে।

তৃতীয় অধ্যায়-- বর্ণিত হয়েছে বেদ পুরাণ উল্লিখিত ভারতের বিস্মৃত সময়ের কিছু কাহিনী। অমৃতের সন্ধানে সমুদ্র মন্থন এবং দেবতা ধন্বন্তরির উত্থান কাহিনী এবং বিখ্যাত চিকিৎসক সুশ্রুতর কাহিনী।

সর্বশেষে এক ভ্রমণ কাহিনী। এক অদ্ভুত সেনার সঙ্গে সাক্ষাৎ, যিনি মৃত্যুর পরেও কাজ করে গিয়েছেন। এমন এক মৃত্যুহীন প্রাণের জীবনের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।