আগস্ট ১৮, ১৯৪৫ থেকে জানুয়ারি ২৩, ২০২৫ – প্রায় ৮০ বছর কেটে গেছে!

প্রচলিত মতে আগস্ট ১৮, ১৯৪৫-এ তাইহকু বিমানবন্দরের কাছে এক বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু সম্পর্কিত বিতর্কটি দীর্ঘকাল ধরে ভারতীয় রাজনীতি এবং ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত বিষয়। তিনি কি সত্যিই ওই বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন, নাকি সোভিয়েত ইউনিয়নে তিনি গোপনে জীবনযাপন করেছিলেন? অনেকের মতে সাধুবেশে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলান। এই বিতর্কগুলোকে আরও জটিল করেছে বিভিন্ন সরকারী নথি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের মতামত। নেতাজির জীবন এবং কাজ নিয়ে জনমতের বিভক্তি আজও বহাল, এবং তাঁর প্রকৃত মৃত্যুর বিষয়টি এখনও অব্যক্ত রহস্য হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি থাকলে হয়ত আজ এই সমাজ অন্যরকম হয়ত।

নেতাজী রহস্য ! 

আসলে রহস্য নয়। 

রহস্যের অন্তরালে রয়েছে গুজব আর গুজবের প্রতিধ্বনি। কখনো তা নেতাজী ভক্তদের অযৌক্তিক আবেগ-সঞ্জাত। কখনো তা রাজনৈতিক অস্তিত্ব বজায় রাখার দুর্দমনীয় প্রচেষ্টা। কখনো তা প্রসারিত আন্তর্জাতিক পরিসরে। বেশিটাই দেশের অভ্যন্তরে। কখনো তা একেবারে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত ব্যবসায়িক ঘৃণ্য চক্রান্তে। কখনো ধর্মের আড়ালে। কখনো বৈষয়িক গবেষণার আড়ালে অভিধানসম বিপুলায়তন ‘বৌদ্ধিক’ গ্রন্থের বন্দি মলাটে। ‘গুজবের গ্রাসে নেতাজী’ গত ৭৭ বছরের সেইসব রহস্যের মূলে একটি জোরালো আঘাত। সত্যের আড়ালে এক অসত্যকে প্রকাশ ও প্রচার করে ধর্মভীরু নিয়তিভীরু বঙ্গবাসীদের মূর্খ বানানোর যে প্রচেষ্টা অাজও বিদ্যমান, তার বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ। না তত্ত্বকথায় নয়, তথ্যকথায়। নথি, সাক্ষ্য, প্রমাণ, যুক্তি এবং বিশ্বাস নির্ভর একটি আপাদমস্তক অনুসন্ধানী গ্রন্থ যা নেতাজী-রহস্যের সৃষ্টিকর্তাদেরও মুখ আড়াল করার জন্য দৌড় করাবে।

২৩শে জানুয়ারি, ওনার জন্মদিন। বাঙালি (এবং ভারতীয়) হিসেবে গর্ববোধ হয়। স্যার, আপনাকে স্যালুট! ভালো থাকবেন। আর জানবেন, আপনি আমাদের এই জাতির শিরদাঁড়া।

• "গুজবের গ্রাসে নেতাজী"
• লেখক : সুজিত রায়
• প্রচ্ছদ : সপ্তদীপ দে সরকার
• প্রকাশক : বুক ফার্ম