বৈদিক সমাজে নারীদের অবস্থান ছিল সম্মানজনক, যেখানে শিক্ষা, স্বাধীনতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার তাদের ছিল। কিন্তু কালের প্রবাহে সেই অবস্থান ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়েছে, আর আজকের সমাজে তা প্রতিনিয়ত নানা সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।

এই ক্রমবিকাশমান সংকটের প্রেক্ষাপটে শ্রীনলিনীমোহন সান্যাল আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান অতীতের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ে, যেখানে নারীরা শুধু গৃহিণীই নয়, ছিলেন জ্ঞানী, দক্ষ ও স্বনির্ভর। তিনি অতীতের আদর্শ ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য আশ্রয় নেন এক আদর্শ আর্য নারীর জীবনচর্যার। এই কাহিনির মাধ্যমে লেখক দেখাতে চান, কীভাবে নারীরা একসময় সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এবং কীভাবে ধীরে ধীরে সেই অবস্থান পরিবর্তিত হয়েছে।

নারীদের বর্তমান অবস্থানের আলোকে, "সুভদ্রাঙ্গী" কেবল একটি উপন্যাস নয়, এটি সমাজের এক গভীর বার্তা বহন করে। এটি নারীর শক্তি, আত্মনির্ভরশীলতা ও সামাজিক অবস্থান নিয়ে এক অনন্য আলোকপাত।

সাম্প্রতিক সময়ে, যেখানে নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয়গুলো সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, সেখানে এই বইটি এক মাইলফলক স্বরূপ। ডি. এম. লাইব্রেরির উদ্যোগে "সুভদ্রাঙ্গী" নতুন রূপে প্রকাশিত হয়েছে, আরও সমৃদ্ধ ও প্রাসঙ্গিক হয়ে। এটি শুধু অতীতের গৌরবগাথা নয়, বরং বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্য এক দিকনির্দেশনাও।

আপনি যদি ইতিহাস ও নারীর সামাজিক অবস্থান নিয়ে আগ্রহী হন, তাহলে "সুভদ্রাঙ্গী" আপনার অবশ্যপাঠ্য হওয়া উচিত!