ছুটিতে গিয়েও রহস্য ছাড়ে না তার পিছু: নেপালে কৌশিক মিত্রের অভিযান

নেপাল সফরে বেরিয়েছিল সমু—সঙ্গে মা-বাবা আর ক্যালিফোর্নিয়াবাসী চিন্ময়কাকু। কলকাতা বিমানবন্দরের রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই হঠাৎ দেখা হয়ে গেল সমুর প্রিয় গোয়েন্দা কৌশিক মিত্রের সঙ্গে। সমুর বাবা মজা করে বলেই ফেলেছিলেন, “কোথায় চললে কৌশিকবাবু? নেপালে চোর-ডাকাত ধরতে?” হেসে উত্তর দিয়েছিলেন গোয়েন্দা, “আরে না, এবার আর তেমন কিছু নয়। যাচ্ছি ট্রেকিংয়ে, অন্নপূর্ণা বেস-ক্যাম্প অবধি হাঁটার ইচ্ছে আছে।”

কাঠমান্ডুর ফ্লাইটে বসে সমু চুপিচুপি বলেছিল চিন্ময়কে, “জানো, কৌশিককাকু না আমায় বলেছেন ওর কপালই নাকি এমনি—ছুটি কাটাতে গেলেও কোনো না কোনো অপরাধের ফাঁদে ঠিক জড়িয়ে পড়ে! ইশ্! এবারও যদি এমন কিছু হয়? আর, আমরাও যদি সেখানেই গিয়ে হাজির হই?”

হয়েছিল ঠিক তাই। তবে এবার বিপদটা যেন আরও বড়। ঘটনাচক্রে কৌশিককে নামতে হয়েছিল এমন এক জটিল পরিস্থিতির মর্মে, যেখানে চিন্ময় নিজেই জড়িয়ে পড়েছিল। কীভাবে? কেন? কৌশিক কি তার তীক্ষ্ণ গোয়েন্দাগিরি দিয়ে পারবে এই দুর্ভাগ্য ঘোচাতে?

এই উপন্যাসেই নয়, গোটা সংকলন জুড়েই ছড়ানো রয়েছে কৌশিক মিত্রের গোয়েন্দাগিরির নানা দ্যুতি। অন্য দুটি কাহিনিতে তাকে দেখা যাবে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে। রহস্য জমে উঠবে, ধাঁধা ঘনীভূত হবে, আর কৌশিকের পর্যবেক্ষণ আর যুক্তির ধারায় উন্মোচিত হবে অপরাধের অন্ধকার।

তবে কেবল গোয়েন্দাকাহিনি নয়, সংকলনের বাকি তিনটি গল্পে রয়েছে অন্য ধরনের রহস্য—কখনও মানসিক, কখনও অতিপ্রাকৃতের সীমান্তে, আবার কখনও নিছক দৈনন্দিনের মধ্যেই লুকোনো উত্তেজনা। এক কথায়, প্রতিটি গল্প পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে রহস্যের জগতে—কখনও পাহাড়ঘেরা নেপালে, কখনও জীবনের গভীর মানসিক অরণ্যে।

“রহস্য সবসময়ই পাশের ঘরে দাঁড়িয়ে থাকে, দরজাটা খুলে দিতে হয় শুধু।” — কৌশিক মিত্র