পঞ্চমুণ্ডি, একমুণ্ডি, নবমুণ্ডি, ত্রিমুণ্ডি, চারমুণ্ডির আসন সাধনায় লাগে মানুষ, বনমানুষ, হস্তী, সিংহ, ব্যাঘ্র, শৃগাল, সজারু, বেড়াল ও সাপের মাথার খুলি। লৌকিক কামনা সিদ্ধির আশ্চর্য সামর্থ্য থাকে তন্ত্রের আসনে। 

প্রাচীন তান্ত্রিকেরা কীভাবে তৈরি করতেন সাধন আসন? কেমন করে চলত সাধনা? কেমন হতো ঋদ্ধি – সিদ্ধি, ব্যর্থতায় আসন প্রেতের উৎপাত? রানি রাসমনির গুরুদেব উমাচরণ ভট্টাচার্য, নৈয়ায়িক বাসুদেব সার্বভৌমের ঠাকুরদাদার গুরু বৃহদ্রথ ঠাকুর, কাপালিক আগম বাবা, কাশীরাম তান্ত্রিক, অচলানন্দ গিরি, তেজস্বিনী মাঈ, হরিহরানন্দ তীর্থস্বামী, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ, গোপাল ন্যায়রত্ন, রামতোষণ বিদ্যালঙ্কার, জটাধারী মাঈ, ভৃগুরাম, চন্দ্রচূড় তর্কচূড়ামণি, রাজশাহীর রাজারাম, অভিচারসিদ্ধ কালীশঙ্কর, জটিয়া যাদু, শ্রীপুরের গোঁসাই ভট্টাচার্য, বাগহট্টের তান্ত্রিকেরা, নাগভট্ট, ব্রহ্মানন্দ গিরি, গৌড়দেশের আচার্য শ্রীবিদ্যার উপাসক গৌড়পাদের শিষ্য অদৃশ্য আনন্দমঠের আদিবৃদ্ধ ব্রহ্মানন্দদেব সহ খ্রিস্টীয় আট শতক থেকে উনিশ শতক অবধি অখণ্ড বাংলার উল্লেখ্য তন্ত্রাচার্যদের আসন রহস্য নিয়ে রচিত হয়েছে ঐতিহাসিক আখ্যান প্রাচীন তান্ত্রিকদের আসন রহস্য।