দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস্ — এরকুল পোয়ারোর ফরাসি অভিযানের জটিল এক খুনের কাহিনি

আবারও ফিরে এসেছে বিভা এরকুল পোয়ারো সিরিজ—এবার তৃতীয় খণ্ডে। আমাদের এবারের নিবেদন, আগাথা ক্রিস্টির দ্বিতীয় পোয়ারো উপন্যাস দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস্, যা প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২২-২৩ সালে, ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য অ্যাংশাস আইস’ নামে, পরে বই আকারে তার বর্তমান নাম নেয়। এই উপন্যাসে আমরা প্রবেশ করি এক অদ্ভুত, প্রায় অসম্ভব খুনের জালে—যেখানে প্রতিটি সূত্র যেন আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায় ধোঁয়াশার ঘনত্বে।

ফ্রান্সের এক গলফ কোর্সের ধারে আবিষ্কৃত হয় এক ধনকুবেরের মৃতদেহ। কিন্তু দেহের অবস্থান, শরীরে পেন-চালিত ছুরির আঘাত, আর ঘড়ির সময়—সবকিছুই যেন সাজানো এক বিভ্রান্তিকর নাটক। পোয়ারোর বেলজিয়ান বিশ্লেষণ আর ব্রিটিশ গোয়েন্দাপ্রক্রিয়ার গাঁটছড়া খুলে দেয় এমন এক গল্প, যেখানে প্রতিটি চরিত্র নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে গোপন রাগ, প্রেম, লোভ ও বিশ্বাসঘাতকতা।

এই উপন্যাসে আগাথা ক্রিস্টি যেন তাঁর লেখনীতে এক অনন্য আবেগ ও নাটকীয়তার ছাপ রেখেছেন—ফরাসি আবহের মোহে মোড়া, অথচ গোড়া থেকে শেষ অবধি একটি নিখুঁত ব্রিটিশ ডিটেকটিভ কাহিনির কাঠামোতে দাঁড়িয়ে। বাস্তব এক অপরাধের অনুপ্রেরণায় লেখা বলে গল্পটি আরও বেশি জীবন্ত, আর এর চরিত্রগুলো যেন মাংস-মজ্জায় গঠিত—মানবীয়, অথচ অপ্রত্যাশিত।

দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস্ শুধুমাত্র একটি রহস্য নয়—এ এক মানবচরিত্র বিশ্লেষণের ক্যানভাস, যেখানে ছোট ছোট আবেগের টানে খুন হয়ে ওঠে অবধারিত। এরকুল পোয়ারোর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, হ্যাস্টিংসের আবেগপ্রবণ মন এবং রহস্যের কুশলী বিন্যাস—সব মিলিয়ে এটি এক অনন্য ক্লাসিক, যা গোয়েন্দা সাহিত্যের ভক্তদের জন্য চিরকালীন রত্ন।