নয়ের দশকের ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাওয়া ভারতবর্ষ—বিশেষত মুম্বাই, দিল্লি আর অসমের মতো প্রান্তরে যে সব উত্তাল দিনরাত্রি কেটেছে, তারই এক তীব্র বাস্তব দলিল হয়ে উঠেছে এই গল্প সংকলন। লেখক পেশায় একজন ক্রাইম সাংবাদিক, বৈশালী যোশী। তাঁর কলমে বাস্তব, কল্পনা ও তথ্য এমনভাবে মিশে গেছে যে প্রতিটি গল্পই দাঁড়িয়ে রয়েছে ফিকশন ও নন-ফিকশনের ধূসর সীমারেখায়। ‘উজালা টাইমস’ নামের এক কাল্পনিক সংবাদপত্রের সাংবাদিক হিসেবে বৈশালীর অভিজ্ঞতা আর সরাসরি ময়দানে থেকে দেখা ঘটনা এই কাহিনিগুলিকে করে তুলেছে একান্তই বিশ্বাসযোগ্য, অথচ শিহরণ জাগানো।

‘গুলশন’ গল্পে উঠে এসেছে দিল্লি থেকে মুম্বাইয়ে আসা এক তরুণের উত্থান ও নির্মম পরিণতির কাহিনি। ‘অসম ডায়েরি’ গল্পে রাজনৈতিক অস্থিরতা, চক্রান্ত আর অদ্ভুত নৈরাজ্যের এক অনুপম ছবি। ‘দত্তা সামন্ত ও বম্বে কটন মিলস’ পাঠকদের নিয়ে যাবে মুম্বাইয়ের হারিয়ে যাওয়া শ্রমজীবী ইতিহাসে—যেখানে একজন ট্রেড ইউনিয়ন নেতার উত্থান ও পতনের ভিতরে লুকিয়ে ছিল এক শহরের অর্থনৈতিক শিরদাঁড়া বদলে যাওয়ার ইতিহাস।

সবচেয়ে আধুনিক প্রেক্ষাপটে লেখা ‘ড. হাইড—দ্য হ্যাকার’ আমাদের দাঁড় করিয়ে দেয় প্রযুক্তির অন্ধকার অলিন্দে—যেখানে হ্যাকার আর হিরোর পার্থক্য ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে।

এই সংকলন শুধুমাত্র অপরাধ বা রাজনীতির গল্প নয়—এ এক সময়ের ধারাভাষ্য। একজন সাংবাদিকের চর্মচক্ষে দেখা, কলমে কাঁপিয়ে তোলা বাস্তবতার দলিল। যাঁরা সাহস করে অন্ধকারে চোখ রাখেন, তাঁদের জন্য অপরিহার্য এক পাঠ।

আপনি কি চান এই বইয়ের জন্য একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম সাজিয়ে দিতে পারি?