চন্দননগর ও অন্যান্য মফঃস্বল শহরের বহু ঘরোয়া পরিমণ্ডলে লেখকের শৈশব ও কৈশোরের যাতায়াত যেমন ছিল, তেমনই ছিল এক অন্তরঙ্গ সংযোগ— আত্মীয়স্বজনের পুরনো ভাঙাচোরা বাড়িগুলোর সঙ্গে, আর সেইসব বাড়ির একান্ত কক্ষের কোণে অধিষ্ঠিত কুলদেবতার সঙ্গে। সেই দেবতা, যাঁরা কখনও কখনও ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী— যেন তাঁদের আরাধনায় খুলে গেছে ঐশ্বর্যের দরজা। কিন্তু যেখানে অর্থ, সেখানে অনর্থ। আর সেই অনর্থই জন্ম দিয়েছে একের পর এক অঘটনের। এইসব অঘটন কখনও ছিল অদৃশ্য, কখনও প্রকাশ্য, কিন্তু প্রত্যেকটাই লেখকের মনে রেখে গেছে গভীর প্রভাব।

শৈশবের সেই অভিজ্ঞতাগুলি, যেগুলি কখনওই ভুলে যাওয়া যায় না, আজ সময়ের ধুলোয় কিছুটা ঝাপসা। তবু, লেখকের মনে জেগে ওঠে সেগুলি কল্পনার রঙে আঁকবার তীব্র বাসনা। সেই ইচ্ছারই ফসল এই গ্রন্থ— চারটি রহস্য উপন্যাসিকা, যেগুলির ভিত গাঁথা হয়েছে বাস্তব অভিজ্ঞতা ও আধ্যাত্মিকতার সংমিশ্রণে। প্রতিটি কাহিনিতে মিশে রয়েছে দেবতা, অপরাধ, বিশ্বাস, সংশয় এবং মানবমনের রহস্য।

এই চারটি উপন্যাসিকা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন স্বাদ আনবে— এমন এক অভিজ্ঞতা, যেখানে অতীন্দ্রিয় ও অপরাধ মিলে তৈরি হয়েছে এক আশ্চর্যসুন্দর মিশ্ররস। পাঠক পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা উল্টে আবিষ্কার করবেন এক ভিন্ন জগত, যেখানে সত্য আর কল্পনার সীমারেখা ধীরে ধীরে মুছে যায়।