Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Swapner Rong Sabuj

Writer : Anirban Dey

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Boibandhu Publications

  • Shipping Time : 10 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Diary / Interview / Non-fiction
  • Publication Year : NA
  • ISBN No : 978-81-984467-8-7
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 262
  • Weight : 499 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch

About the Book

আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটজনক এক সন্ধিক্ষণে। প্রাণের আবির্ভাবের পর পৃথিবী অন্তত পাঁচবার ভয়ঙ্কর গণবিলুপ্তির সাক্ষী থেকেছে— প্রতিবারেই প্রাকৃতিক কোনো বিপর্যয় যেমন জ্বালামুখ, গ্রহাণু পতন বা জলবায়ুর হঠাৎ রূপান্তর ছিল তার কারণ। কিন্তু এই ষষ্ঠ গণবিলুপ্তি, যাকে বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় হলোসিন এক্সটিঙ্কশন, তার পেছনে প্রকৃতি নয়, দোষী মানুষ নিজেই।


মাত্র কয়েক শতাব্দীর উন্নয়নের লোভে মানুষ পৃথিবীকে ছিঁড়ে ফেলেছে একের পর এক স্তরে। বন ধ্বংস, শিল্পবর্জ্যে নদী-সমুদ্র দূষণ, হাওয়ায় বিষ, জমিতে বিষ, প্রাণীদের শিকার আর নির্বিচারে প্রজনন বন্ধ করা— সব মিলিয়ে মানুষের সভ্যতা যেন হয়ে উঠেছে ধ্বংসযজ্ঞের নিপুণ কারিগর। গত মাত্র ২০০ বছরে পৃথিবীর জনসংখ্যা বেড়েছে সাত গুণ, কিন্তু সেইসঙ্গে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার প্রজাতির চিহ্ন, নষ্ট হয়েছে কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফসল।


এই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের ছায়া আমাদের মাথার ওপর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য আজ বিলুপ্তির এমন এক গতিতে চলছে যা প্রাকৃতিক গতিপথের চেয়ে একশো থেকে এক হাজার গুণ দ্রুত। মানুষ এখন সচেতন হতে শুরু করেছে, কিন্তু প্রশ্ন হল— অনেক দেরি হয়ে গেল কি?


এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে ফিরে যেতে হয় সেই ভারতবর্ষে, যেখানে প্রাচীন সভ্যতা প্রকৃতিকে কেবল সম্পদ হিসেবে নয়, এক মাতার রূপে দেখেছিল। “মাতা ভূমি, পুত্রোহম পৃথিব্যা”— এই উপমা শুধু কোনো ধর্মীয় বাক্য নয়, ছিল একটি গোটা জীবনদর্শনের ভিত্তি। মানুষ, গাছ, প্রাণী, নদী— সবাই এক বৃহৎ অস্তিত্বের অংশ। এখানকার সভ্যতায় ছিল প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, শোষণের নয়।


কিন্তু সেই দর্শন বহু শতকের বিদেশি আগ্রাসন, উপনিবেশিক শিক্ষা আর তথাকথিত উন্নয়নের চাপে বিস্মৃতপ্রায়। আজ যখন পৃথিবী ধ্বংসের কিনারায় দাঁড়িয়ে, তখন আবার প্রয়োজন সেই দর্শনের পুনর্জন্ম। উন্নয়ন যদি হয় ধ্বংসের চাবিকাঠি, তবে প্রকৃতি-ভিত্তিক জীবনদর্শনই হতে পারে মুক্তির উপায়।


এই গ্রহ এক আশ্চর্য দান— তার বুকে এত প্রাণ, এত রঙ, এত রহস্য। এই সমস্ত কিছু হারিয়ে যাওয়ার আগে প্রশ্নটা এখন আমাদের সকলের সামনে: মানুষ কি শুধরে নিতে পারবে নিজেকে? মানুষ কি আবার পারবে প্রকৃতির সঙ্গে হাত মেলাতে? সময় কম, কিন্তু আশা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। প্রশ্নটা তাই শুধু কেবল “মানুষ কি পারবে?”— নয়, বরং “মানুষ কি চায় পারতে?”