“এবং জ্যোৎস্না ভেজা মানুষ” একটি বই, যা শুধুমাত্র অলীক কল্পনা বা কাহিনির খেলা নয়, বরং এক ধরনের জীবন্ত দলিল, যা আমাদের সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে। বইটি শুধু গল্পের আবেগে গাঁথা নয়, বরং সমাজের নানা দিক, মানুষের মনের অন্ধকার ও আলোর তলায় থাকা অতৃপ্ত ইচ্ছাগুলোকে একে একে উন্মোচন করে। এখানে স্থান পেয়েছে সেই সব মুহূর্ত, যখন জীবনের প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠে, কখনও রঙিন স্বপ্নে, আবার কখনও অবিকল অন্ধকারের কোণে।

বইটি ঠিক যেমন কল্পনাবিলাসী, তেমনি তা আমাদের সামনে একটা আরেকটি পৃথিবীর দরজা খুলে দেয়—যেখানে বাস্তবতার ভেতরে ঢুকে আসে এক রহস্যময় বাতাস, এক দমকা হাওয়া, যা কখনও ধূসর, কখনও টাটকা সবুজ; কিন্তু এর পেছনে এমন এক অনুভূতি বা সত্য গোপন থাকে, যা পাঠককে নিজের ভেতরে গভীরভাবে ভাবাতে বাধ্য করে। গল্পের প্রতিটি বাঁকে, অক্ষরের মাদকতায়, সেখানকার মানুষের কষ্ট, সুখ, হতাশা, কিংবা ভালোবাসা—সব কিছু মিলেমিশে নতুন এক রূপ নেয়।

“এবং জ্যোৎস্না ভেজা মানুষ” যেন জীবনের নানা স্তরের, নানা মেজাজের মিলনস্থল, যেখানে কল্পনা এবং বাস্তবের মধ্যে ফ্যাকাসে সীমারেখা মুছে গিয়ে এক অদ্ভুত সম্মিলন ঘটে। এটি বইয়ের এক ছোট্ট ফলাফল, যা এক শ্বাসরুদ্ধকর কল্পনার আখ্যানের মাধ্যমে আমাদের সমাজের বিবিধ মুখে প্রকাশিত হয়, যা পাঠকের মনের গভীরে প্রভাব ফেলবে।