আগুণের পরশমণি

একাত্তরের যুদ্ধ, এক আহত সৈনিকের অন্তর্গত লড়াই, আর এক নারীর নীরব উপস্থিতিতে জন্ম নেওয়া এক অনির্বচনীয় সম্পর্কের কাহিনি

যখন শরীর বিদীর্ণ ব্যথায় কাতর, তখন মন খোঁজে আশ্রয়—মায়ের কোল, ভালোবাসার সুরক্ষা। মুক্তিযুদ্ধের সেই ভয়াল সময়ে, এক খোলা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা এক নারীর উড়ন্ত চুল যেন জীবনের শেষ প্রহরে আলমকে মনে করিয়ে দেয়—জীবন আসলে কতটা সুন্দর ছিল, আর হতে পারত।

"আগুণের পরশমণি" শুধু একাত্তরের পটভূমিতে লেখা যুদ্ধ উপন্যাস নয়—এ এক গভীর মানবিক উপলব্ধির দলিল। ব্যথায় জর্জর এক সৈনিকের মুখে মায়ের ডাক, ভালোবাসার আকুতি, আর এক নারীর অবর্ণনীয় সহানুভূতি মিলে গড়ে ওঠে এক নিঃশব্দ অথচ গর্জন তুলতে সক্ষম সম্পর্কের গল্প।

রাত্রির নিঃশব্দ সঙ্গ, আলমের শারীরিক ও মানসিক যুদ্ধ, আর যুদ্ধের পেছনে লুকিয়ে থাকা হাজারো ব্যক্তিগত যন্ত্রণাকে এ উপন্যাস ছুঁয়ে যায় অসম্ভব কোমলতা ও মমতায়।

এ এমন এক উপন্যাস, যা পড়ে পাঠক শুধু ইতিহাস নয়, অনুভব করবেন একাকীত্ব, যন্ত্রণার ভেতরে জেগে থাকা বেঁচে থাকার স্পৃহা।

যুদ্ধের আগুনে পোড়া মনেও যদি ভালোবাসা বাঁচে—তবেই তো তা সত্যিকারের "আগুণের পরশমণি"।