Writer : Taslima Nasrin
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Autobiography & Biography
- Publication Year : 2023
- ISBN No : 81-85383-47-2
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 463
- Weight : 600 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
"দ্বিখণ্ডিত" তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীর তৃতীয় খণ্ড, যেখানে তিনি সরাসরি মুখোমুখি হন তাঁর লেখকজীবনের সবচেয়ে আলোচিত, চ্যালেঞ্জিং ও বিপজ্জনক সময়ের সঙ্গে। এই খণ্ডে মূলত বর্ণিত হয়েছে তাঁর লেখালেখি ঘিরে জন্ম নেওয়া বিতর্ক, ইসলামী মৌলবাদীদের হুমকি, ফতোয়া জারি, এবং বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার দুঃসহ বাস্তবতা।
নামের মতোই, বইটি এক ‘দ্বিখণ্ডিত’ জীবনের দলিল – একদিকে একজন নারীবাদী, মুক্তমনা লেখিকার আত্ম-অভিযান, আর অন্যদিকে রাষ্ট্র ও সমাজের হাতে তাঁর নির্যাতনের করুণ বিবরণ। দ্বিখণ্ডিত শুরু হয় সেই সময় থেকে, যখন তসলিমার লেখা সমাজ ও ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং তা দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে। তাঁর লেখা "লজ্জা" উপন্যাস তাঁকে প্রশংসা এনে দিলেও, একইসাথে মৌলবাদীদের রোষানলে ফেলে। তাঁকে ইসলামের অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয় এবং শেষপর্যন্ত তিনি দেশ ত্যাগে বাধ্য হন।
এই বইয়ে তিনি যেমন তুলে ধরেছেন ব্যক্তি-মানুষ তসলিমার অনুভব, ব্যথা, বিচ্ছেদ – তেমনি বিশ্লেষণ করেছেন সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি এবং তথাকথিত প্রগতিশীলদের মুখোশ। তসলিমা এ বইতে একদম নিঃসংকোচে এবং অকপটে নিজের জীবনের সর্বাধিক ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক মুহূর্তগুলো প্রকাশ করেছেন।
❝এই খণ্ডে আমি আর কেবল আমার জীবনের গল্প বলিনি, বলেছি এক সমাজের মুখোশ খুলে ফেলার গল্প।❞
— তসলিমা নাসরিন
গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ও বিশ্লেষণ:
১. ‘লজ্জা’ প্রকাশ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া:
বইটির মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছে লজ্জা উপন্যাসের প্রতিক্রিয়া। এতে তিনি দেখিয়েছেন কিভাবে তাঁর সাহসী লেখার জন্য মৌলবাদীরা তাঁকে দেশদ্রোহী ও ধর্মদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে।
২. ফতোয়া, মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি:
এই অধ্যায়গুলোতে খুব স্পষ্টভাবে তিনি তুলে ধরেছেন কীভাবে ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তাঁর বিরুদ্ধে রক্তপিপাসু হয়ে ওঠে। তাঁর জীবন প্রতিমুহূর্তে ঝুঁকির মধ্যে পড়ে, এবং তাঁকে এক জেলাবন্দির মতো করে লুকিয়ে রাখা হয়।
৩. দেশত্যাগ ও নির্বাসিত জীবন:
বইয়ের একটি হৃদয়বিদারক অংশ হলো তাঁর দেশত্যাগের বর্ণনা। দেশ, প্রিয়জন, সাহিত্য এবং ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার যন্ত্রণা তিনি গভীর আবেগে প্রকাশ করেছেন।
৪. নারীবাদ, স্বাধীনতা ও চিন্তার স্বাধীনতা:
তসলিমা বারবার জোর দিয়ে বলেছেন যে তাঁর লড়াই ছিল কেবল নারীর অধিকারের পক্ষে, আর কোনো ধর্ম, ব্যক্তি বা জাতির বিরুদ্ধে নয়। তিনি চিন্তার স্বাধীনতাকে জীবন-মরণের প্রশ্ন হিসেবে তুলে ধরেন।
বইটির তাৎপর্য ও বিতর্ক:
- ‘দ্বিখণ্ডিত’ প্রকাশের পর এটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়।
- ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে এটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়।
- একইসাথে এটি একটি সময়ের সাহসিক দলিল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
- লেখিকার নিজস্ব ভাষা ও ভঙ্গিতে উঠে আসে সত্য, যন্ত্রণা, ও এক নারীর স্বাধীনতার আর্তনাদ।
- কলকাতায় পালিয়ে আসার পর উনি বইটি এখানে প্রকাশ করলে ততকালীন বামপন্থী পশ্চিমবঙ্গ সরকারও ইস্লামিক মৌলবাদীদের চাপে বইটি BAN ঘোষণা করে, 0১ বছর 0৯ মাস ২৬ দিন পর কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বইটি মুক্ত হয়।
দ্বিখণ্ডিত শুধু একজন লেখিকার আত্মজীবনী নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক সাহসী নারীর অবস্থানের দলিল। এটি সেই গর্জন, যা নীরবতার সামনে মাথা নত করে না। এই বই সাহস, সহনশীলতা ও বিবেকের আহ্বান – যা আজও প্রাসঙ্গিক।