Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Amar Meyebela to Nirbasan - Taslima Nasrin All Autobiography/Atmajibani Vol 1-7

Writer : Taslima Nasrin

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Peoples Book Society

  • Shipping Time : 10 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Autobiography & Biography
  • Publication Year : 2024
  • ISBN No : 81-85383-59-6
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 2237
  • Weight : 3800 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x07 Inch
MRP : ₹2400.00/- Discount : 22% Off
Your Price : ₹1872.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীর সাতটি খণ্ড—“আমার মেয়েবেলা” থেকে শুরু করে “নির্বাসন” পর্যন্ত—প্রতিটি গ্রন্থ একটি স্বতন্ত্র সময়, অভিজ্ঞতা ও মানসিক অবস্থার দলিল। এই আত্মজীবনীগুলোতে কিছু থিম ধারাবাহিকভাবে পুনরাবৃত্ত হলেও, প্রতিটি খণ্ডে এগুলোর গভীরতা, পরিপ্রেক্ষিত ও প্রকাশ ভিন্ন। নিচে একটি থিমভিত্তিক তুলনামূলক বিশ্লেষণ দেওয়া হলো:

  • আত্মপরিচয় ও আত্ম-অনুসন্ধান

তসলিমার আত্মজীবনীর সূচনা থেকেই একটি মূল প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসে — আমি কে?

‘আমার মেয়েবেলা’-তে তিনি একজন কিশোরী, যিনি সমাজের চোখে একজন “মেয়ে” হওয়ার কারণে সীমাবদ্ধ, বাধাগ্রস্ত, অপমানিত। তাঁর শৈশব ছিল চুপ করে থাকা, মাথা নিচু করে চলা, নিজের শরীর ও চেতনার মধ্যে বেড়ে ওঠা এক বিশাল দ্বন্দ্ব।

‘উতলা হাওয়া’-য় সেই চুপচাপ মেয়েটি আর চুপ থাকে না। সে কথা বলে, প্রশ্ন তোলে, প্রেম করে, শরীরকে নিজের করে ভাবতে শেখে। কিন্তু এই আত্ম-উন্মোচনের পথ সহজ নয়—কারণ সমাজের চোখে সেই নারী হয়ে ওঠে উচ্ছৃঙ্খল।

‘দ্বিখণ্ডিত’-তে আত্মপরিচয় আরও জটিল হয়ে ওঠে। এখানে তিনি শুধু একজন নারী নন, একজন লেখক, একজন সচেতন নাগরিক, একজন প্রতিবাদী। ‘লজ্জা’ বইয়ের পর তিনি শুধু তসলিমা নন, একজন বিতর্কিত রাজনৈতিক প্রতীক। তাঁর অস্তিত্ব দু’ভাগে ভেঙে যায়—একদিকে লেখার দায়, অন্যদিকে সমাজের ঘৃণা।

  • নারী স্বাধীনতা ও দমনপ্রবণ সমাজ

প্রথম থেকেই স্পষ্ট, তসলিমা শুধুমাত্র নিজের মুক্তির কথা বলেননি—তিনি সেই নারীদের কথা বলেছেন, যারা কণ্ঠ হারিয়ে ফেলেছে সমাজের নীতিনির্ধারিত কাঠামোয়।

‘উতলা হাওয়া’ এবং ‘দ্বিখণ্ডিত’-এ এই বিষয়টি প্রবলভাবে উঠে আসে। একদিকে তিনি প্রেম করেন, ভালোবাসেন, জীবনকে অনুভব করতে চান; অন্যদিকে সমাজ, ধর্ম, পরিবার বারবার তাঁর স্বাধীনতাকে ‘পাপ’ বলে চিহ্নিত করে।

‘সেইসব অন্ধিকার’-এ এই দমন প্রবণতার চূড়ান্ত রূপ দেখা যায়—যেখানে তিনি শুধুই বহিষ্কৃত এক নারী, যাঁর কণ্ঠস্বর বিপজ্জনক বিবেচিত। তাঁর অস্তিত্বকেই যেন লজ্জাজনক মনে করা হয়।

তসলিমার দৃষ্টিতে, নারী স্বাধীনতার জন্য সত্য বলা মানেই সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া। কিন্তু তিনি থেমে থাকেন না, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, নারীর মুক্তির পথ জটিল হলেও থামানো যাবে না।

  • মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও মতপ্রকাশের অধিকার

এই থিমটি তসলিমার লেখার কেন্দ্রে অবস্থান করে ‘দ্বিখণ্ডিত’ খণ্ড থেকে শুরু করে। ধর্ম, ধর্মীয় কুসংস্কার ও নারী অবদমনের বিরুদ্ধে কথা বলার ফলে তিনি শুধু সামাজিক নয়, রাজনৈতিকভাবে হুমকির মুখে পড়েন। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয় ফতোয়া, মৃত্যুহুমকি, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।

‘সেইসব অন্ধিকার’ এবং ‘আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ’-এ এসব হুমকির বাস্তব ফল উঠে আসে। পশ্চিমবঙ্গে থাকার অধিকারও চলে যায় তাঁর হাত থেকে।

‘নির্বাসন’-এ এসে প্রশ্নটি আরও গভীর হয়—তাঁকে বলা হয় তিনি ‘ভারতীয় নন’, অথচ তিনি বলেন, “আমি শুধু লেখার জন্য বাঁচি।” এই লেখার স্বাধীনতাই তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় বিশ্বাস। কিন্তু এ স্বাধীনতা কোথায়? রাষ্ট্র কি আদৌ লেখকের কণ্ঠকে রক্ষা করতে পারে?

  • নিঃসঙ্গতা, শূন্যতা ও সম্পর্কভাঙনের অভিজ্ঞতা

প্রতিটি খণ্ডে যে অনুভূতি ক্রমশ প্রবল হয়, তা হলো নিঃসঙ্গতা। শুরুতে তা ব্যক্তিগত, কিন্তু পরবর্তীতে তা একাকীত্বের গভীর খাদের রূপ নেয়।

‘আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ’-এ তসলিমা দেখান, রাজনৈতিক নির্বাসনের পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও এক এক করে ভেঙে পড়ে—বন্ধুতা, ভালোবাসা, এমনকি আত্মীয়তাও।

‘নেই, কিছু নেই’-তে এই একাকীত্ব হয়ে ওঠে সর্বগ্রাসী। এখানে তিনি আর লড়ছেন না, তিনি শুধু টিকে থাকছেন। সম্পর্ক, ভাষা, ঘর—সবকিছু হারিয়ে তিনি বলছেন, “নেই, কিছু নেই।”

‘নির্বাসন’-এ এই শূন্যতা স্থায়ী রূপ নেয়। তিনি একটি দেশ খোঁজেন, একফোঁটা আশ্রয় খোঁজেন, যেখানে তিনি নিজের মতো করে বাঁচতে পারেন—কিন্তু সব জায়গায় দেয়াল।

  • দেশ, ভিটেমাটি ও নির্বাসন

শুরুর খণ্ডগুলোতে দেশ মানে পরিবার, শহর, সমাজ। কিন্তু ‘দ্বিখণ্ডিত’ থেকে দেশ হয়ে ওঠে এক রাজনৈতিক অস্তিত্ব, যেটি লেখককে ত্যাগ করে।

‘আমি ভালো নেই…’ এবং ‘নেই, কিছু নেই’-তে দেশ নেই, আছে শুধু তার স্মৃতি, আর তীব্র অভাব। তসলিমার লেখায় নির্বাসন শুধু ভৌগোলিক নয়—তা সাংস্কৃতিক, ভাষাগত এবং মানসিকও।

‘নির্বাসন’ হলো এই যাত্রার শীর্ষবিন্দু। সেখানে নেই কোনো ঘর, নেই কোনো ভিটে। তিনি শুধু নিজের লেখাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। তাঁর শিকড় কেটে ফেলা হয়েছে, অথচ গাছটি মরেনি—সে বাঁচে, শুধু ফুল ফোটাতে পারে না।

তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীসমগ্র (খণ্ড ১–৭) শিরোনামগুলো:

  1. আমার মেয়েবেলা
  2. উতলা হাওয়া
  3. দ্বিখণ্ডিত
  4. সেইসব অন্ধিকার
  5. আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো প্রিয় দেশ
  6. নেই, কিছু নেই
  7. নির্বাসন

এই আত্মজীবনীসমূহের প্রভাব ও তাৎপর্য:

  • নারীর নিজস্ব কণ্ঠস্বর কীভাবে জন্ম নেয়, তা বোঝার এক বিরল উপাখ্যান
  • একাধারে সাহসিকতা, প্রতিবাদ, প্রেম ও আত্মদহনের নিখুঁত মিশ্রণ
  • ভাষা, সমাজ, ধর্ম, রাজনীতি—সবকিছুর মুখোশ খুলে ফেলার সাহস
  • বাংলা সাহিত্যে অন্যতম সত্যনিষ্ঠ ও নির্ভীক আত্মজৈবনিক ধারাবাহিক রচনা

তসলিমা নাসরিনের আত্মজীবনীগুলো পড়া মানে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক নারীর নিজেকে ভাঙা, গড়া, বারবার হারানো আর খুঁজে পাওয়ার সাক্ষী হওয়া। প্রতিটি খণ্ড একটি নির্দিষ্ট স্তরের আত্মসংঘাত এবং প্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। তার লেখায় বারবার ফিরে আসে নিজের ভিতরে ডুবে যাওয়া, সমাজের কাছে প্রশ্ন তোলা, এবং বারবার হেরে গিয়েও থেমে না যাওয়ার এক আশ্চর্য সাহস।

এই থিমগুলো শুধু তাঁর ব্যক্তিগত ইতিহাস নয়—এগুলি সমগ্র দক্ষিণ এশীয় সমাজের নারীর ইতিহাসের প্রতিধ্বনি।