Writer : Taslima Nasrin
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Short Story & Micro/Flash Stories
- Publication Year : 2019
- ISBN No : 81-85383-79-0
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 256
- Weight : 499 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
একুল ওকুল – লজ্জার পরবর্তী কাহিনি। "একুল ওকুল" উপন্যাসটি লজ্জা-এর প্রধান চরিত্র সুরঞ্জন দত্ত-এর জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর মুসলিম মৌলবাদীদের আক্রমণের পর সুরঞ্জন ভারতে আশ্রয় নেয়। ভারতে এসে সে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতা, সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং শরণার্থী জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এই উপন্যাসে সুরঞ্জনের সংগ্রাম, তার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব এবং তার নতুন পরিচয়ের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চিত্রিত হয়েছে।
১৯৯৩ সালে প্রকাশিত তসলিমা নাসরিনের বিতর্কিত ও বিশ্বব্যাপী আলোচিত উপন্যাস “লজ্জা” বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের উপর মৌলবাদী নিপীড়নের হৃদয়বিদারক চিত্র তুলে ধরেছিল। সেই উপন্যাসের চরিত্র সুরঞ্জন-এর যাত্রা যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই শুরু হয় “একুল ওকুল”—একটি বেদনার্ত, বাস্তব ও বুদ্ধিবৃত্তিক অনুসন্ধানের উপাখ্যান।
কাহিনির সারসংক্ষেপঃ
"একুল ওকুল"-এ পাঠক দেখতে পান, বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদী উগ্রতার শিকার হয়ে হিন্দু পরিবারগুলোর মতো সুরঞ্জনকেও দেশত্যাগ করতে হয়। তিনি ভারতে আশ্রয় নেন, কিন্তু সে আশ্রয় কখনো নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠতে পারে না। ভারতের "নতুন দেশ", "নতুন সমাজ", ও "নতুন ধর্মীয় রাজনীতি"—সবকিছু যেন সুরঞ্জনের মনে তৈরি করে এক অন্তর্জ্বালা ও ভেতরের টানাপোড়েন। যিনি নিজেকে এক সময় জাতীয়তাবাদী ভাবতেন, ধর্মনিরপেক্ষ বলতেন, তিনিও নিজেকে প্রশ্ন করতে শুরু করেন—"আমি কে? আমি কোথায়? আমার মূল কোথায় গাঁথা?"
এই উপন্যাসে শুধু সুরঞ্জনের নয়, বাস্তবিক অর্থেই এটি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের নিজের নির্বাসিত অবস্থার সাহিত্যিক প্রতিফলন। লেখিকা তাঁর চরিত্রের ভেতর দিয়ে এক বহুমাত্রিক সমাজ, ধর্ম, লিঙ্গ ও রাজনীতির জটিল রূপকে উন্মোচন করেছেন।
মূল থিম ও বিশ্লেষণঃ
পরিচয় সংকট: বইটির কেন্দ্রীয় দার্শনিক প্রশ্ন হলো—"নাগরিকত্ব, দেশপ্রেম ও ধর্মীয় পরিচয় কতটা মানুষের বাস্তব অস্তিত্বকে সংজ্ঞায়িত করে?"
নির্বাসন ও বেদনা: সুরঞ্জনের অভিজ্ঞতা প্রকৃতপক্ষে তসলিমা নাসরিনের নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতারই এক প্রতিফলন, যেখানে ঘরছাড়া মানুষটির একটিও "আপন" ভূমি নেই।
ধর্ম ও রাজনীতি: লেখিকা দেখিয়েছেন, ধর্মের নামে রাজনীতি কীভাবে ব্যক্তিকে দিশাহীন করে তোলে—বাংলাদেশে যেমন মৌলবাদ হিন্দুদের তাড়িয়েছে, তেমনি ভারতে হিন্দুত্ববাদের উত্থান অন্যধর্মের মানুষদের প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
নারী, শরীর ও সমাজ: তসলিমা নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপন্যাসে এমন কিছু চরিত্র তুলে ধরেছেন, যাদের শরীর, যৌনতা, ও স্বপ্ন সবই সমাজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। তারা যেমন সুরঞ্জনের জীবনের অংশ, তেমনি একটি বৃহত্তর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক।
এই বইটিও "লজ্জা"-র মতো সাহসী, স্পষ্ট ও প্রশ্নবিদ্ধ। তসলিমা নাসরিন চুপ থাকেন না, লেখেন যা তিনি বিশ্বাস করেন। তার লেখা কখনো জনপ্রিয় শৌখিন পাঠকের জন্য নয়, বরং তাদের জন্য, যারা প্রশ্ন করতে জানে।
পাঠকের জন্য কেন পড়বেন এই বইটি?
- আপনি যদি ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবতা ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা নিয়ে গভীর চিন্তায় আগ্রহী হন
- যদি আপনি রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সাহিত্য কীভাবে একত্র হয় তা জানতে চান
- যদি আপনি শরণার্থী জীবন, পরিচয় সংকট এবং সমাজের প্রতিক্রিয়ার বাস্তব রূপ দেখতে চান
- এবং অবশ্যই, যদি আপনি সাহসী ও বিবেকবান লেখনী পড়তে ভালোবাসেন
“একুল ওকুল” তসলিমা নাসরিনের এমন এক আত্মদর্শনের দলিল, যা কেবল একটি চরিত্র বা একটি গল্প নয়, বরং এক সমাজ-সভ্যতার মুখোশ উন্মোচনের প্রচেষ্টা।