"পৌরাণিক গল্প"—ছোটোদের জন্য লেখা, ছোটোদের মতো করে ভাবা। কুলদারঞ্জন রায় ছিলেন সেই বিরল লেখকদের একজন, যিনি প্রাচীন পুরাণের বিস্তৃত, জটিল কাহিনিগুলিকে শিশুমনের উপযোগী করে পরিবেশন করতে পারতেন সহজ, সংক্ষিপ্ত, অথচ আকর্ষণীয় ভাষায়।

যেখানে "পুরাণের গল্প" কুলদারঞ্জনের লেখা হিসেবে ইতিমধ্যেই পরিচিতি পেয়েছে, সেখানে এই "পৌরাণিক গল্প"—একটি তুলনামূলকভাবে কম প্রচারিত, অথচ সমানভাবে আকর্ষণীয় সংকলন, যা নতুনভাবে ফিরে এল পাঠকের কাছে।

এই বইয়ে স্থান পেয়েছে বিষ্ণুপুরাণ, পদ্মপুরাণ, শিবপুরাণ, মৎস্যপুরাণ এবং মার্কণ্ডেয়পুরাণ থেকে নেওয়া দশটি মনোমুগ্ধকর কাহিনি। দেবতা, ঋষি, দৈত্য-দানব, আশ্চর্য জন্মকথা, চিরন্তন ন্যায়-অন্যায়ের দ্বন্দ্ব—সব মিলিয়ে এই গল্পগুলি শিশুমনে পৌরাণিক জগতের এক রঙিন, কল্পনাময় ছবি এঁকে দেয়। আর এই জগৎকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে শিল্পী ফণী গুপ্ত-র মূল অলংকরণ। প্রতিটি ছবিতে ধরা পড়েছে কাহিনির আবেগ, রূপকল্প ও রঙিন পৌরাণিক সৌন্দর্য।

"পৌরাণিক গল্প" কেবল একটি গল্পসংকলন নয়—এটি একটি ঐতিহ্যের পুনর্জন্ম, ছোটোদের হাতে পৌরাণিক সাহিত্যের প্রথম পাঠ তুলে দেওয়ার আন্তরিক প্রয়াস।