Writer : Gajendra Kumar Mitra
Edited By : NA
Compiled By : NA
Translated By : NA
Publishers : Mitra O Ghosh Publishers Pvt.Limited
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Novels & Novellas
- Publication Year : 2020
- ISBN No : NA
- Binding : Paper Back
- Pages : 502
- Weight : 550 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
মিত্রসাহেবের তৃতীয় উপন্যাস “পৌষ-ফাগুনের পালা”, যা “কলকাতার কাছেই” ট্রিলজির দ্বিতীয় খণ্ড হিসেবে “উপকণ্ঠে” প্রকাশের চার বছর পরে প্রকাশিত হয়। এই দীর্ঘ বিরতিতে ঠিক কীভাবে উপন্যাসের প্লট গঠিত হয়েছে, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না, তবে রচনার সময় লেখককে একাধিক মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে—এ কথা তার নিজস্ব স্বীকারোক্তিতেই উঠে এসেছে।
এই উপন্যাসের পূর্বসূরি—“কলকাতার কাছেই” এবং “উপকণ্ঠে”—যেভাবে পাঠকের মন জয় করেছিল, তেমনই একটি টানটান আবহের প্রত্যাশা করা হয়েছিল। কিন্তু “পৌষ-ফাগুনের পালা”-তে প্রতিটি পৃষ্ঠায় একের পর এক ধাক্কা অপেক্ষা করছিল পাঠকের জন্য। চরিত্রদের জীবনে নেমে এসেছে নির্মমতার ছায়া, যেটি কখনো দৈহিক মৃত্যু, আবার কখনো আত্মিক পতনের রূপে প্রকাশিত হয়েছে। এই আত্মিক মৃত্যু, লেখকের বিশ্লেষণে, মানবিকতার অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি হিসেবেই ধরা দিয়েছে।
উপন্যাসে চরিত্রগুলোর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে হিংসা, ক্ষোভ, পরকীয়া, লালসা, হীনমন্যতা ও গোঁড়ামির মতো প্রবৃত্তি—যা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নয়, বরং সমাজে প্রচলিত সংস্কার ও মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি। সেই সঙ্গে প্রতিটি চরিত্রের সংকট ও সংঘাতের মধ্যেই জন্ম নিয়েছে আত্মোপলব্ধির এক নতুন ধারা। কেউ কেউ প্রিয়জনকে হারিয়ে সেই উপলব্ধিকে বাঁচিয়ে রেখেছে, আবার কেউবা পরাজিত হয়েছে জীবনের কাছে।
উপন্যাসের চরিত্রদের মধ্যে শরৎ, স্বর্ণলতা, অরুণ, তরলা, ও প্রমীলা—নিজ নিজ আত্মজাগরণ ও সহানুভূতির মাধ্যমে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে দীর্ঘ দুর্দশার মধ্যে। আবার বলাই ও কান্তির চরিত্রে জীবনের বিপর্যয় ও পরিণতির নির্মমতা প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে শ্যামাঠাকরুন—এই কাহিনির কেন্দ্রবিন্দু, যিনি একসময়ে ছিলেন সংযম ও সহনশীলতার প্রতীক, অথচ পরবর্তীতে তার জীবন ভর করেছে এক নির্লিপ্ত কঠোরতায়। এই কঠোরতাই তাকে বিচ্ছিন্ন করেছে সমাজের স্বাভাবিক আবেগ ও সংবেদনশীলতা থেকে। তার চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝেও এক নিঃসঙ্গ আত্মা হয়ে শ্যামাঠাকরুনের অস্তিত্বকে অনুভব করা যায়—যার একাকীত্ব স্পষ্টভাবে চিত্রিত না হলেও, পাঠকের উপলব্ধিতে তার দহন টের পাওয়া যায়। অথবা হয়ত, সেই নিঃসঙ্গতাকেই তিনি নিজের বলে গ্রহণ করে নিয়েছেন।