Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Marutirtha Hinglaj

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Mitra O Ghosh Publishers Pvt.Limited

  • Shipping Time : 10 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Travelogue>Travel Diary or Essay
  • Publication Year : 2020
  • ISBN No : 81-72931190
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 200
  • Weight : NA
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
MRP : ₹300.00/- Discount : 12% Off
Your Price : ₹263.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

একটি আধ্যাত্মিক অন্বেষণের দলিল হিসেবে “মরুতীর্থ হিংলাজ”-কে বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ স্থান প্রদান করা হয়েছে। লেখকের সংসারবিরাগের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই আত্মঅনুসন্ধানের যাত্রা পাঠককে নিয়ে যায় ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের গহীন মরুভূমিতে, যেখানে অবস্থিত হিন্দুদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান—হিংলাজ।

এই গ্রন্থে যে যাত্রার বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা শুধুমাত্র ভূগোলভিত্তিক নয়; বরং এক অন্তর্জগতে প্রবেশের মাধ্যম হিসেবেই সেটিকে দেখা হয়েছে। লেখক স্বয়ং সেই যাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ১৩৫৩ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে। সেই যাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে গভীর পর্যবেক্ষণ, দার্শনিক উপলব্ধি এবং মানবিক আবেগের মাধ্যমে। হিংলাজ, যা পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত, হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থান এবং ৫১ শক্তিপীঠের একটি পীঠ হিসেবে পরিচিত। এটি স্থানীয় বালুচ মুসলমানদের কাছেও “নানী কী হজ” নামে পরিচিত। তীর্থযাত্রীরা সেকালে উটের পিঠে চড়ে, এক মাসের কঠোর যাত্রার পর হিংলাজে পৌঁছাতেন। এই যাত্রায় সঙ্গে থাকত শুকনো খাবার, পানীয় জল, অস্ত্র, এবং হিংলাজ মাতার প্রসাদের জন্য শুকনো নারকেল, মিছরি, বাতাসা ইত্যাদি।

তৎকালীন সমাজব্যবস্থা, ধর্মীয় আচার, তীর্থযাত্রীদের জীবনসংগ্রাম ও বিশ্বাসের জটিলতা অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মরুভূমির ধুলো, ক্লান্ত উটের পদচিহ্ন, শুকনো খাদ্য ও প্রাণপণ চেষ্টা করে জীবন্ত ফিরে আসা তীর্থযাত্রীদের অভিজ্ঞতা—সবই এখানে পাঠকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে একান্ত নিরপেক্ষ, অথচ গভীর আবেগময় ভাষায়।

এই বইকে ঘিরে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক উল্লেখযোগ্য সংযোজনও ঘটেছিল ১৯৫৯ সালে, যখন এটি অবলম্বনে একই নামের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। উত্তমকুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং বিকাশ রায়ের অভিনয়ে সেই ছবি শ্রোতা-দর্শকের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়

কেন এই বইটি পাঠযোগ্য:

  • একটি প্রাচীন তীর্থযাত্রার বাস্তব বিবরণ পাওয়ার একমাত্র আধুনিক উৎস হিসেবে বিবেচিত।
  • ধর্ম, দর্শন ও মানবতাবোধের অন্তর্লীন প্রশ্নগুলিকে ছুঁয়ে যাওয়া হয়েছে স্বতঃস্ফূর্তভাবে।
  • আধ্যাত্মিক সংকট, আত্মত্যাগ, বিশ্বাস ও সামাজিক মূল্যবোধের দ্বন্দ্ব পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলতে সক্ষম।

“মরুতীর্থ হিংলাজ” -কে কেবল একটি ভ্রমণকাহিনি বলে সীমাবদ্ধ করা যায় না—এটি এক আত্মিক অভিযান, যা পেরিয়ে যেতে হয় হৃদয় ও চেতনার মরুভূমি। একদিকে শারীরিক ক্লেশ, অন্যদিকে আত্মার জিজ্ঞাসা—এই দুইয়ের সম্মিলনেই তৈরি হয়েছে এই অনবদ্য গ্রন্থ।