- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Art & Culture>Paintings
- Publication Year : 2022
- ISBN No : 9788172152390
- Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 278
- Weight : 671 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x02 Inch
If so, it will be notified
About the Book
১৯৫৬ সালে যখন ‘ভারতের চিত্রকলা’র প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয়, তখন পর্যন্ত পার্সি ব্রাউন সহ দেশি-বিদেশি বহু কলা-ইতিহাসবিদ ও সমালোচক চিত্ররীতির সঙ্গে রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিবর্তনের যোগসূত্র স্থাপন করে কোনো পূর্ণাঙ্গ সামাজিক ইতিহাস লেখেননি। তাঁদের কাজ অধিকাংশই আঞ্চলিক বা নির্দিষ্ট কোনো যুগের উপর ভিত্তি করে ছিল। সেই অর্থে অশোক মিত্রের ‘ভারতের চিত্রকলা’ এক অভাবনীয় প্রয়াস—ভারতীয় ভাষায় লেখা এটি সম্ভবত শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাস রচনার প্রথম সারির কাজ।
এই গ্রন্থে প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র থেকে শুরু করে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ভারতের চিত্রকলার বিবর্তন ও বিকাশকে দুই খণ্ডে আলোচিত করা হয়েছে। প্রথম খণ্ডের আলোচনার পরিসমাপ্তি আঠারো শতকে। তখন বহু প্রাচীন ও মূল্যবান চিত্রকর্ম ভারতের বাইরে থাকায়, লেখককে প্রথম সংস্করণে ছাপা ছবির অ্যালবামের ওপর নির্ভর করতে হয়।
তবে ১৯৫৮ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত নানা দেশ ও সংরক্ষণাগারে সরাসরি ছবি দেখার অভিজ্ঞতা লেখকের মধ্যে এক নতুন আবেগ ও আত্মবিশ্বাস তৈরি করে, যার প্রতিফলন দ্বিতীয় সংস্করণে স্পষ্ট। এই সংস্করণে বইটি আগের তুলনায় অনেক বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। বিশেষত, সাদাকালো ও রঙিন চিত্রাবলীর সংগ্রহ এই বইকে শিল্প-ইতিহাস রচনায় এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
ভারতীয় চিত্রকলার ইতিহাস লিখতে গিয়ে অশোক মিত্র শুধু রজার ফ্রাইয়ের বিশ্বপ্রকৃতির পরিশুদ্ধ রূপে মুগ্ধতা বা রেমব্রান্টের ভারতীয় চিত্রকলার সংযমের প্রশংসার কথা বলেননি—তিনি পাশাপাশি তুলে ধরেছেন, কীভাবে একজন ভারতীয় শিল্পীর পক্ষেও পাশ্চাত্য শিল্পচিন্তার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি আত্মস্থ করা প্রয়োজন।
এই তুলনামূলক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ‘ভারতের চিত্রকলা’ আরও গভীর ও পূর্ণাঙ্গ রূপ পেয়েছে। যুগে যুগে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে ভারতীয় চিত্রকলার যে রস-স্নান ঘটেছে, তা বিশ্লেষণ করে এই বই নিঃসন্দেহে ভারতীয় শিল্প-সংস্কৃতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে থাকবে।
অশোক মিত্র
অশোক মিত্র, যোগেশচন্দ্র ও ঊষাবতী মিত্র-র জ্যেষ্ঠপুত্র। জন্ম ১৯১৭। শিক্ষা প্রেসিডেন্সি কলেজ ও অক্সফোর্ডের মার্টন কলেজে। ১৯৩৯ সালে আই. সি. এস-এ যোগদান। কর্মসূত্রে বিধানচন্দ্র রায় এবং প্রশান্তচন্দ্র মহলানবীশের সান্নিধ্যলাভ। ভারত সরকারের অধীনে রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার (১৯৫৮-১৯৬৮); সেনসাসের কাজের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগ, অসামরিক বিমান ও পর্যটন বিভাগ, এবং যোজনা কমিশনের সচিব এবং সবশেষে রাষ্ট্রপতির সচিব (১৯৬৫-১৯৭৫)। রাষ্ট্রপতির সচিবের কাজের সঙ্গে ১৯৭২-১৯৭৫ এবং অবসরগ্রহণের পর থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে সোস্যাল সায়েন্স বিভাগে অধ্যাপনা। পরে জে এন ইউ এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইন্স্টিটিউটে সম্মানিত অধ্যাপক। সোভিয়েট যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্স-এর ডি. এস-সি (সাম্মানিক)। সম্মিলিত জাতিপুঞ্জ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার জনসংখ্যা বিষয়ক চর্চা বিভাগের সদস্য। ভারতের আদমসুমারি এবং জনসংখ্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের বিচার-বিশ্লেষণে অসামান্য কৃতিত্ব। বিশিষ্ট শিল্প-সমালোচক। ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষায় নানা গ্রন্থ রচনা : Census Report of West Bengal 1951, The Tribes and Castes of West Bengal, District Gazetteers, Three Score and Ten I & II, তিন কুড়ি দশ, পশ্চিম ইওরোপের চিত্রকলা, ছবি কাকে বলে, ইত্যাদি। রবীন্দ্র পুরস্কারে সম্মানিত (১৯৯৪)।