কলকাতার ইণ্ডিয়ান মিউজিয়মের নিরিবিলি এক গ্যালারিতে রয়েছে রহস্যের ছায়া। “টেরাকোটা ও মাইনর আর্টস” নামক গ্যালারিতে ছবি তোলা নিষিদ্ধ। অথচ মিউজিয়ামের বাকি গ্যালারিগুলোতে তেমন কোনো বাঁধা নেই। তাহলে এই কক্ষেই বা কী এমন আছে, যার জন্য এত গোপনীয়তা?

গ্যালারির বাইরে রাখা এক ভাঙা বেলেপাথরের পেটিকা — যার উপরের ঢাকনায় অদ্ভুত চিহ্ন, ক্ষত এবং নাকি গোপন বার্তা। এই প্রত্নবস্তুর ইতিহাস ছুঁয়ে গেছে “কপিলাবস্তুর কলস” নামের কল্পকাহিনির মূল রহস্যরেখা। এই গল্পে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রী রিধিমা বোস ভারতে এসে জড়িয়ে পড়েন এক জটিল অনুসন্ধানে। সে খোঁজ করতে থাকে এক ইতিহাস, যেটি হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসনের সময়ে। ইংরেজদের তৈরি করা সেই পাঠ্যবইয়ের ইতিহাসে যে ফাঁকফোকর আছে, তা ক্রমশ স্পষ্ট হতে থাকে।

কিন্তু ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে রিধিমা বুঝতে পারে, সত্য উন্মোচনের পথ শুধু কঠিনই নয় — বিপজ্জনকও। প্রশ্ন জাগে:

1. সেই পাথরের পেটিকায় কী লুকানো আছে?
2. তা কি সত্যিই বুদ্ধদেবের কোনো নিদর্শন?
3. আর কেনই বা কেউ চায় না এই ইতিহাস প্রকাশিত হোক?

পাঠকের জন্য:

ঐতিহাসিক থ্রিলার, প্রত্নতত্ত্ব, গবেষণা, এবং বাস্তব ইতিহাসের বিকল্প ব্যাখ্যার প্রতি যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্য এটি এক অনন্য সাহিত্যিক অভিযাত্রা।

বিশেষ আকর্ষণ:

• ভারতের উপনিবেশিক ইতিহাসের প্রেক্ষিতে তৈরি প্রশ্ন ও পুনর্বিচার
• প্রত্নতত্ত্ব, মিউজিয়াম ও পুরাতাত্ত্বিক রহস্যে মোড়া গল্প
• নারী গবেষকের দৃষ্টিকোণ থেকে ইতিহাসের অনুসন্ধান
• সমসাময়িক এবং প্রাচীন ভারতে যোগসূত্র

“কপিলাবস্তুর কলস” শুধু একটি কল্পকাহিনি নয়—এ এক সাহসী প্রচেষ্টা, যা ইতিহাসের গোপন পৃষ্ঠাগুলো খুলে দেখতে পাঠককে আমন্ত্রণ জানায়।

অতীতকে চেনা মানেই কি শুধু স্মৃতি? নাকি সেই চেনার মধ্যে লুকিয়ে থাকে ক্ষমতা, রাজনীতি, আর অপরাধের চিহ্ন?