Writer : Ashoke Roy
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Essays>Religious & Mythological Criticism
- Publication Year : 2020
- ISBN No : 978-9350408438
- Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 416
- Weight : 659 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x01 Inch
If so, it will be notified
About the Book
প্রাচীন জনজাতির মধ্যে মাতৃপ্রাধান্যের বিবর্তিত রূপটি মাতৃপূজার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়েছে। লেখক অশোক রায়ের ‘মাতৃকাশক্তি’ গ্রন্থে মাতৃপূজা ও শক্তিসাধনার ইতিহাস সাবলীলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
প্রথম অধ্যায় ‘সৃষ্টি’-তে বিজ্ঞানী, পাশ্চাত্য দার্শনিক, আর্য ঋষি ও পরিণামবাদের জনক মহর্ষি কপিল প্রমুখের সৃষ্টিব্যাখ্যা সংক্ষিপ্ত ও সমগ্রভাবে আলোচনা করা হয়েছে। পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে মধ্য-প্রস্তর ও নব-প্রস্তর যুগে মাতৃপূজার উত্থান, সিন্ধু সভ্যতা, আর্য বৈদিক ও পৌরাণিক যুগ, বৌদ্ধ ধর্ম ও দেবদেবী, তন্ত্রচর্চা ও শাক্তধারা, দেবীপূজা, মা কালী ও ৫১ পীঠের তত্ত্ব, বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারাসহ বিভিন্ন দিক প্রাঞ্জল ভাষায় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এছাড়াও হিমাচলের শক্তিপীঠ ও কামাখ্যা ভ্রমণের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাগুলোও সংযুক্ত রয়েছে।
গ্রন্থটি প্রামাণ্য তথ্যের ভিত্তিতে পরিশ্রমী চেষ্টায় রচিত হওয়ায় পাঠককে জ্ঞানসমৃদ্ধ করবে। লেখক অশোক রায়, যিনি ১৯৫২ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ায় ভূ-রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাঁর অন্যান্য গবেষণাগ্রন্থ যেমন ‘শালগ্রাম শিলার সন্ধানে’ ও ‘বিবর্তনের ধারায় শিব ও শিবলিঙ্গ’ উল্লেখযোগ্য। তিনি আন্তর্জাতিক ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতায় বহুবার পুরস্কৃত হয়েছেন।
‘মাতৃকাশক্তি’ নামের বিপরীতে এই বইটি মূলত বাংলাসহ উপমহাদেশে ধর্মাচরণের ইতিহাস ও বিশ্লেষণ হিসেবে গৃহীত হয়েছে। এতে মা-র বিভিন্ন রূপ ও ভূমিকা ইতিহাসের আলোকপাত করা হয়েছে।
বইয়ের বিষয়বস্তু নিম্নলিখিত অধ্যায়ে বিভক্ত:
- সৃষ্টি
- প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও আদিম মানবের ধর্ম
- সিন্ধু সভ্যতায় মাতৃপূজা
- বৈদিক ও পৌরাণিক যুগে মাতৃপূজা
- বৌদ্ধ ধর্ম
- বৌদ্ধ দেবদেবী
- তন্ত্র ১
- শক্তি ও শাক্তধারা
- দেবী পূজার কথা
- মা কালী
- একান্ন পীঠের তত্ত্ব
- তন্ত্র ২
- হিমাচলের শক্তিপীঠ ভ্রমণ
- বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির ধারা
- কামাখ্যা ভ্রমণ
- গ্রন্থপঞ্জি ও নির্দেশিকাও সংযুক্ত করা হয়েছে।
এই বইয়ের কয়েকটি উল্লেকখযোগ্য বিষয় হল ঃ
(১) শক্তিসাধনা ও তন্ত্রের ঐতিহাসিক তথা বিবর্তনমূলক দিকটি এত সহজ ভাষায় তথ্যনিষ্ঠভাবে বাংলায় আলোচনা করা হয়েছে, যা এর আগে অন্য কোনো গ্রন্থে পাওয়া যায়নি।
(২) বিনয়তোষ ভট্টাচার্য রচিত 'বৌদ্ধদের দেবদেবী' পড়ে যাদের নাড়ি ছেড়ে গিয়েছিলো (তাঁদের মধ্যে লেখকও আছেন), তাঁদের জন্য এই বইটি অবশ্যপাঠ্য বলে বিবেচিত হয়েছে।
(৩) উর্বরতার পূজার সঙ্গে জড়িত শক্তিপূজার দিকটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র শস্যপূজনের অংশটি বাংলায় মাতৃসাধনার প্রত্যক্ষ ও আনুষঙ্গিক পূজার রূপে কিভাবে প্রকাশ পেয়েছে, তা অত্যন্ত মনোজ্ঞভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
(৪) লেখকের ভ্রমণ-জনিত অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির রস দিয়ে বইটিকে নিছক প্রবন্ধসাহিত্যের চেয়ে ভিন্ন একটি আকার দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সুধী পাঠকদের জন্য তা স্মরণীয় হয়ে ওঠে, কারণ একসময় বাংলায় নানা ভ্রমণের সূত্রে প্রাবন্ধিকদের লেখায় কিংবদন্তি, পুরাণ ও বিস্মৃত ইতিহাস উঠে আসত, যা বইয়ের ঐ অধ্যায়গুলো পড়তে গিয়ে ফিরে এসেছে।
যদিও বইয়ের কিছু তথ্যগত দুর্বলতা যেমন সিন্ধু সভ্যতা ও আর্য বৈদিক সভ্যতা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক গবেষণার ব্যবহারহীনতা এবং কিছু একদেশদর্শী ঐতিহাসিক তত্ত্বের প্রয়োগ বিদ্যমান, তবে তন্ত্রচর্চা ও শক্তিসাধনার ইতিহাস সহজ ও তথ্যনিষ্ঠ ভাষায় উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বাংলা ভাষায় বিরল। লেখকের ব্যক্তিগত ভ্রমণ অভিজ্ঞতা বইটিকে প্রবন্ধসাহিত্যের বাইরে একটি ভিন্ন মাত্রা প্রদান করেছে। বইটি হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের ইতিহাস এবং মাতৃশক্তির বিবর্তন নিয়ে গভীর ধারণা প্রদান করেছে।