Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Ami Pakistaner Ek Hindu Meye O Onyanyo Golpo

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Basak Book Store

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Short Story & Micro/Flash Stories
  • Publication Year : 2025
  • ISBN No : NA
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 300
  • Weight : 515 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x01 Inch
MRP : ₹380.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹323.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

মহারাজা দাহির সেনের মিথিলাকে মনে আছে? যে মেয়েটিকে অপহরণ করার কিছুদিন পর মিডিয়ার সামনে ধর্মান্তরিত করে একজনের সাথে বিয়ে দেওয়া হয়, তারপর কয়েক মাস পর মেয়েটি একেবারে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। মিথিলা তো উপন্যাসের চরিত্র, বাস্তবের প্রিয়া কুমারি কিংবা রিংকেল কুমারির মতো বহু মেয়ে নিত্য এই একভাবে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ থেকে। কিছুদিন আগে এক সিন্ধী ভাইয়ের সাথে ভিটে ছেড়ে পাকিস্তানের সিন্ধী হিন্দু পরিবারগুলোর ভারতে চলে আসা নিয়ে আলোচনা চলছিল। তখন সেই ভাই জানালেন যে, তাদের গ্রামে কয়েকদিনের মধ্যে মোট চারটি হিন্দু মেয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে। নিজেদের মেয়েদের রক্ষার জন্য এদের ভারতে চলে যেতে হচ্ছে।

"...প্রকাশিত হওয়ার দশ বছর পর আবার প্রকাশিত হল "আমি পাকিস্তানের এক হিন্দু মেয়ে ও অন্যান্য গল্প"। বাস্তব ধর্মী লেখা লিখতে ভালোবাসি। যেকোন বাস্তব সমস্যার গভীরে ঢুকে তার চুলচেরা বিচার বিশ্লেষন করে সেই সমস্যার সমাধান করতে ভালোবাসি। তাতে যদি জীবনের ঝুঁকি থাকে ভয় পাই না। কারন সব কিছু মুখ বুজে মেনে নেওয়া আমার ভালো লাগে না।

আমি মনে করি অতীত,বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ একে অপরের সাথে পাশাপাশি সমান্তরাল ভাবে প্রবহমান এক নদীর তিনটি স্রোত। জীবনের কোন এক পর্যায় এসে এই অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ কোন এক বিন্দুতে এঁকে অপরকে অতিক্রম করে যখন চলে যায়, তখন অতীত কিংবা ভবিষ্যৎ থেকে বহু চরিত্র এবং ঘটনা বর্তমানের মানব জমিনে নেমে এসে আমাদের কাছে ধরা দেয়। ঠিক সেই সময় আমরা সেই চরিত্র এবং ঘটনার সাথে একাত্ম হয়ে সেই স্রোতে ভেসে চলি। আর সেই যাদুকরের ভূমিকা পালন করে সাহিত্য।তাই সাহিত্যকে যেমন তিনটি নদীর অববাহিকা বলা যায়, আবার তাকে বলা যায় সভ্যতার দর্পণ। শুধু দর্পণ বললেও তাকে ভুল বলা হবে, আমি বলব, সাহিত্য যেকোনো পারমানবিক বোমার থেকে শক্তিশালী একটি অস্ত্র, যার মাধ্যমে ঘরের চার দেওয়ালের মাঝে বসেই যেকোনো বাচালতা কিংবা বিকৃতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে তাকে সমূলে উৎখাত করা সম্ভব

আমার লেখা গল্পের চরিত্ররা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে আসা সর্বহারা একদল মানুষ। অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অত্যাচারের চিত্র এবং তার কারণ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় শুরুটা যে বিন্দু থেকে শেষটাও সেই একই বিন্দুতে। আমার লেখা গল্পের পটভূমি অতীতের জার্মানির কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে বর্তমানে সিরিয়ার ক্যাম্প পর্যন্ত যেমন বিস্তৃত ,তেমনি তা অন্যদিকে বর্তমান পাকিস্তান থেকে অতীতের বার্লিনের প্রাচীর পর্যন্ত বিস্তৃত। দীর্ঘদিন গবেষণা করে বিভিন্ন চরিত্র গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রতিটি চরিত্র এবং প্রেক্ষাপটের ওপর দীর্ঘ গবেষণা করে গল্প গুলি লেখা। অনেকে ভাবছেন বইটির নাম "আমি পাকিস্তানের এক হিন্দু মেয়ে ও অন্যান্য গল্প" রাখার কারণ কি। পাকিস্তানের এক হিন্দু মেয়ে গল্পটি দিল্লি থেকে প্রকাশিত এক্সপ্রেস খবরে প্রথম প্রকাশিত হবার পর ফেসবুকে দেড়শ বার শেয়ার হয়েছিল। পাঠকের প্রতিক্রিয়া পেয়ে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। আসলে আমি নিজেও জানতাম না যে পাকিস্তানে কোন হিন্দুরা এখনো বসবাস করেন। রিঙ্কল কুমারীর ঘটনাটা সামনে আসার পর আমি পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিয়ে কিছু দিন বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটা সামগ্রিক চিত্র খুঁজে পাই। তারপর এই গল্পটি আমি লিখি। এই গল্প সংকলনে পাকিস্তানের একটি হিন্দু মেয়ের চূড়ান্ত পরিণতির গল্প যেমন উঠে এসেছে, তেমনি বরিশালের একটি মুসলিম মেয়ের গল্পও আছে যাকে পাচার করে কলকাতার সোনাগাছিতে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি প্রথমেই বলেছি আমার লেখায় ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ের কথা উঠে এসেছে। মুক্তি যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের এক হতভাগী বীরাঙ্গনা মায়ের স্বামী সন্তান হারিয়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাওয়ার চিত্র যেমন আছে, তেমনি বর্তমান রোহিঙ্গা মেয়েদের দুর্দশার চিত্র দুটি গল্পে চিত্রিত হয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় একটি রিপোর্ট পড়ে দেবী গল্পটি লেখার প্রেক্ষাপট খুঁজে পাই, এই গল্পে দীর্ঘ পারিবারিক ধর্ষণের শিকার একটি মেয়ের কথা উঠে এসেছে। পোকা গল্পটি একটি মণিপুরি মেয়ের আতংকবাদী হয়ে ওঠার গল্প।

শুধু নির্যাতিতা নারীদের কথা না, আমার এই গল্প সঙ্কলনে স্থান পেয়েছে শিশুদের জন্য ভূত,এলিয়েনের গল্প।আবার ব্লু হোয়েলের শিকার এক পাঞ্জাবী মেয়ের গল্প দীপাবলি যেমন আছে , তেমনি যারা গোয়েন্দা গল্প ভালোবাসেন, তাদের জন্য গোয়েন্দা গল্পও আছে। এককথায় মানুষের অনুভূতির চলমান চিত্র এই গল্প গুচ্ছ। সাহিত্যে যেমন অতীতের কথা থাকবে, তেমনি বর্তমান সমাজের নানা রকম সমস্যার কথাও তো থাকবে। সুরৎহাল গল্পটিতে পণপ্রথার বলি একটি মেয়ের কথা উঠে এসেছে। টেলিপ্যাথি গল্পটি একটি শিশুকে নিয়ে লেখা, যে বিনা চিকিৎসায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাড়া যায়, কারণ তার বাবা ঠিক সময় টাকা আনতে পারেনি। গুরু গম্ভীর বিষয়ের পাশাপাশি একটু অন্য ধরনের প্রেমের গল্পও এই গল্প গুলির সাথে স্থান পেয়েছে।"

~~ দেবশ্রী চক্রবর্তী। (লেখিকা)