কলকাতার অলিগলিতে ফেলুদার রহস্যভেদ: এক শহর, ন’টি কাহিনি, এক কিংবদন্তি গোয়েন্দা

সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট সেই অবিস্মরণীয় চরিত্র—ফেলুদা। তাঁর আসল নাম প্রদোষচন্দ্র মিত্র হলেও, বাংলা সাহিত্যের পাতায় তিনি আজ একটি আবেগ, একটি ধ্রুবতারকা। রহস্য উদ্‌ঘাটনের পথে বারবার তাঁকে দেখা গেছে কাশী থেকে কাঠমাণ্ডু, বেনারস থেকে বোম্বে। কিন্তু এক শহর আছে, যাকে তিনি শুধু চেনেনই না, হৃদয়ের গভীর থেকে ভালবাসেন—সেই শহর কলকাতা।

‘কলকাতায় ফেলুদা’ সংকলনে লিপিবদ্ধ হয়েছে ঠিক এমনই ন’টি দুর্ধর্ষ, টানটান রহস্যকাহিনি, যেখানে এই চেনা শহরই হয়ে উঠেছে অপরাধ ও উত্তেজনার পটভূমি। কখনও প্রাচীন পাথরের আড়ালে, কখনও থিয়েটারের পর্দায়, কখনও বা এক নিঃশব্দ অন্তর্ধানে জড়িয়ে রয়েছে রহস্যের সূক্ষ্ম সুতোগুলি, যা একে একে খুলে দেন ফেলুদা—তাঁর অতুলনীয় পর্যবেক্ষণ ও যুক্তির আলোয়।

এই কাহিনিগুলিতে তাঁর সঙ্গী সেই চিরচেনা ত্রয়ী—পাঠকের চোখ হয়ে থাকা তপসে আর কল্পনার ডানা মেলা জটায়ু। এই শহরের অলিগলি, পুরনো বাংলো, ক্লাবে বসা ষড়যন্ত্র, অথবা ইতিহাসের আবরণে ঢাকা একেকটি গোপন সত্য—সব মিলিয়ে ফেলুদার এই সব কাহিনিতে কলকাতা যেন জেগে ওঠে অন্য এক চেহারায়।

কৈলাস চৌধুরীর পাথর থেকে শুরু করে ডা. মুন্সীর ডায়রি পর্যন্ত এই সংকলন পাঠকের কাছে শুধু রহস্যপিপাসা মেটানোর রসদ নয়, এক সঙ্গে হয়ে উঠবে শহর-চিনে নেওয়ার এক দুর্লভ অভিজ্ঞতা। ফেলুদা যেখানে, রহস্য সেখানে। আর কলকাতা যেখানে, স্মৃতি আর রোমাঞ্চের আধার সেখানে।