রহস্য, প্রেম আর ইতিহাসের অদ্ভুত সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা এক বিস্ময়কর উপাখ্যান!

আট শতাব্দী আগে বাংলার ক্রান্তিকাল, গীতগোবিন্দ রচনার পটভূমি, কাব্য ও ষড়যন্ত্রের জাল, আর এক মৃত্যুর রহস্য—এই সবকিছুকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত।

এই বইটির পটভূমি আট শতাব্দীরও আগেকার বাংলা, যখন দিকচক্রবালে লুটেরাদের আক্রমণে বিধ্বস্ত বঙ্গভূমি অপেক্ষা করছে বাঁচার আশায়। লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায় এক নবজাগরণশীল সমাজ, যে সমাজে হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন-কৌম সংস্কৃতি ও ধর্ম একত্রিত হয়ে সৃষ্টি করেছে এক অসাধারণ মিলনচিত্র। গড়ে উঠছে কাব্য-সঙ্গীত-শিল্পকলা নির্ভর এক উচ্চরুচির জীবনচর্চা। পাশাপাশি, সমাজে ছড়িয়ে পড়ছে বিভীষিকা—যুদ্ধ, আতঙ্ক, মন্ত্র, কুসংস্কার, ক্ষমতার লালসা, রাজদ্রোহ এবং বিশৃঙ্খলা। একদিকে গীতগোবিন্দ রচনার মতো অমর সৃষ্টি, অন্যদিকে শুরু হচ্ছে হিংসা আর স্বার্থপরতার ভয়াবহ যুগ।

এই সময়কাল, এই সমাজের রঙিন অথচ ঘোলাটে বাস্তবতা নিয়েই লেখা হয়েছে এই স্মরণলেখ্য উপন্যাস। ইতিহাস, কাব্য, প্রেম, লালসা ও ষড়যন্ত্রের এক অদ্ভুত মিশেলে গড়ে উঠেছে উপন্যাসের আখ্যান, যেখানে উঠে এসেছে প্রাচীন ভারতের ধর্মীয়-দার্শনিক ও গণিতচর্চার এক জটিল সংলগ্নতা। পাঠক আবিষ্কার করবেন বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্মের সূক্ষ্ম পার্থক্য, নানান মতবাদ, ঘটনার ঘনঘটা, রহস্যের জটিলতা—সব মিলিয়ে এক ব্যতিক্রমী সাহিত্যিক অভিজ্ঞতা।

উপন্যাসটির কেন্দ্রে রয়েছে কুমারদেবের মৃত্যু—যা আদৌ কি স্বাভাবিক? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর ষড়যন্ত্র? 

পাঠক, সাহস থাকলে রহস্যভেদে এগিয়ে যান জয়দেবের আগেই!