হারিয়ে যাওয়া এক ঐতিহাসিক দলিলের পুনর্জন্ম — ‘মহেঞ্জোদারো: হারিয়ে যাওয়া রিপোর্ট’

১৯২২ সালে মহেঞ্জোদারোতে খনন করে সিন্ধু সভ্যতাকে বিশ্বের সামনে আনার অন্যতম কৃতিত্ব ছিল রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু নানা কারণে তাঁকে এই প্রকল্প থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর লেখা মূল খনন রিপোর্টটি প্রকাশের আগেই হারিয়ে যায় ইতিহাসের পাতায়। এই অনবদ্য বইটি সেই হারিয়ে যাওয়া রিপোর্টেরই প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদ, যা শুধু অনুবাদ নয়—তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বিস্তারিত টীকা, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও নতুন আবিষ্কৃত তথ্য।

রাখালদাসের কাজ দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত ও বিস্মৃত ছিল। সেই ঐতিহাসিক অবহেলাকে শুধরে দিতে এবং তাঁর কৃতিত্বকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রয়াসেই এই গ্রন্থের জন্ম। পাঠকের সহজবোধ্যতার দিকে লক্ষ্য রেখে এতে সংযোজিত হয়েছে মার্শাল, ম্যাকে ও হুইলারের রিপোর্টের ছবি, মহেঞ্জোদারোর খননের দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলি।

‘মহেঞ্জোদারো: হারিয়ে যাওয়া রিপোর্ট’ শুধু এক ঐতিহাসিক দলিল নয়, এটি একটি প্রয়াস—যা আধুনিক গবেষণার আলোকে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসকে নতুন করে উপলব্ধি করার দিশা দেখায়। ইতিহাসপ্রেমী, গবেষক এবং সাধারণ পাঠক—সবার সংগ্রহে রাখার মতো এক মূল্যবান সংযোজন।