Writer : Ashutosh Mukhopadhyay
Edited By : NA
Compiled By : NA
Translated By : NA
Publishers : Mitra O Ghosh Publishers Pvt.Limited
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Short Story & Micro/Flash Stories
- Publication Year : 2010
- ISBN No : NA
- Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 675
- Weight : 1000 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
‘সোনার হরিণ নেই’ শুধুই একটি উপন্যাস নয়, এটি এক গভীর আত্মিক যাত্রা—যেখানে জীবনের প্রাপ্তি, বিসর্জন, মোহ, মোক্ষ এবং অন্তর্লীন উপলব্ধির অনুপম বিন্যাসে গড়ে উঠেছে এক প্রাজ্ঞ সাহিত্যিক অনুসন্ধান। উপন্যাসের নায়ক বাপী তরফদার কেবল একটি চরিত্র নয়, লেখকের নিজস্ব আত্মসত্তার এক প্রতিস্ব, যার প্রতিটি পা ফেলে এক অন্বেষণের পথে—জীবনের অন্তর্নিহিত সত্য ও তার সর্বোচ্চ সার্থকতার সন্ধানে।
সমগ্র উপন্যাসজুড়ে যে বহুমুখী মানবমন, তার আকাঙ্ক্ষা, সংগ্রাম ও সংশয় গাঁথা হয়েছে একাধিক স্তরে। কাম, অর্থ, যশ, ক্ষমতা, নারী, বিলাস—সব কিছুই এসে গেছে বাপীর জীবনে। কিন্তু সবকিছুর প্রাপ্তি শেষে এক শূন্যতা, এক অভাব বাকি থেকে যায়—যা তার মনে করিয়ে দেয়, জীবন হয়তো আরও কিছু চায়, আরও কিছু গভীরতর উপলব্ধি আহ্বান জানায়। সেই শূন্যতাকে পূর্ণতা দিতে আসে পাহাড়ি জঙ্গলের সেই ত্রিশূলধারী, জটাজুটযুক্ত সন্ন্যাসীর চারটি বাক্য—"আগে বাড়ো, মিল যায়গা।"
এই এক বাক্যই যেন উন্মোচন করে এক আধ্যাত্মিক দ্বার—যেখানে বাপীর বহির্মুখী জীবন ক্রমশ রূপান্তরিত হয় অন্তর্জগতের অনুসন্ধানে। উপন্যাসের ধারাবাহিকতায় পাঠক প্রত্যক্ষ করেন কিভাবে এক ভোগী পুরুষ ধীরে ধীরে নিজেকে নির্মাণ করেন এক ত্যাগীর পথচলায়। সেই পথচলায় নেই কোনও ঝলমলে মোহ, আছে আত্মবীক্ষণের কণ্টকময় উপলব্ধি। এবং অবশেষে, সেই অন্তরভেদী যাত্রার শেষে সে খুঁজে পায় ‘সোনার হরিণ’—যা বাহ্যজগতে নয়, বরং অন্তর্জগতেই লুকিয়ে।
‘সোনার হরিণ নেই’ তাই একাধারে দর্শন, আত্মজিজ্ঞাসা ও জীবনের গভীর সত্যকে ছুঁয়ে ফেলা এক অনন্য উপন্যাস। লেখক বিশ্বাস রেখেছেন সেই জীবনদর্শনে, যেখানে সার্থকতা আসে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে, আর অন্বেষণের পথে চলাটাই প্রকৃত প্রাপ্তি। যারা সাহিত্যের মধ্যে জীবনদর্শনের উত্তাপ অনুভব করতে চান, তাঁদের জন্য এই গ্রন্থ হয়ে উঠবে নির্ভরযোগ্য দিশারী।