একবার দেখবেন নাকি পড়ে??

না একবার পড়ে দেখতেই পারেন! হয়ত মনে পড়ে যাবে সেই ফেলে আসা কলেজের দিনগুলো? আপনার প্রথম ক্রাশের নামটা? কি যেন ছিল নামটা? রিয়া না নীলাঞ্জনা না শর্মিষ্ঠা?? সরস্বতী পুজোর সেই দিনটা ভুলে গেছেন নাকি? আরে হ্যাঁ যেদিন ওনাকে… ঠিক মনে পড়ে যাবে!! যদিও চিনার পাতা বৃষ্টির বা চারদিকে ভায়োলিন বাজার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে তবে হয়তো আপনি খুঁজে পাবেন কোনো সেই এক ডায়রির খাঁজে সংরক্ষিত শুকনো গোলাপটা? ইচ্ছে করবে একদিন বিকেলে দুটো কবিতা পড়তে বা লিখতে? না হবেই বলছি না কিন্তু হয়তো হঠাৎই বৃষ্টি ভিজতে মন চাইবে? না চাইবেই বলছি না তবে হয়তো আবার “তাকে” দেখতে বড় ইচ্ছে করবে? করতেই পারে! কে জানে হয়তো অকারণেই চশমার কাঁচে ঘর বাঁধবে অবাধ্য বাষ্পের দল? ইচ্ছে করবে একবার ট্রামে চড়তে! না এটা হলে বিপদ এখন তো আর ট্রামলাইন কাপলেট আর সাজায় না কলকাতায়! তাতে কি ভিক্টোরিয়ার সামনে একবার হেঁটে আসবেন না হয়ে! কে জানে হয়তো তখন শহর কলকাতার থমথমে আকাশেই আপনি দেখতে পাবেন আরোরা বোরিয়ালিস?

তাই তো বলছি পড়ে দেখবেন নাকি??

না না বইটার কথা বলছি না!! এটা একটা সামান্য প্রেমের গল্প সংকলন! ওটা বাদ দিন! আমি প্রেমের কথা বলছি! বইটা পড়া না পড়া আপনার ব্যাপার…

তবে হ্যাঁ যদি আপনার মনের কোনো এক কোণে বা ডেড এন্ডে আপনার সেই ফেলে আসা প্রেমিক সত্তাটি আবেগ আর দৈনন্দিন ব্যস্ততার ট্রাফিক জ্যামে ফেঁসে থাকে, তাহলে এই বইটা তার কাছে হবে বিশুদ্ধ ” আজাদী”!!

এবার ভেবে দেখুন আর একবার পড়বেন নাকি?? আচ্ছা প্রেমে পড়লে ঠিক কি হয়?

চারদিকে মৃদু বাতাস বয়ে বেড়ায়, চিনার গাছের পাতা উড়ে আসে, ব্যাকগ্রাউন্ডে কেউ ভায়োলেন বাজায়?

নাহ এগুলো যে হয়না সেটা মোটামুটি প্রমাণিত সত্য, তবু কেন প্রেম নিয়ে এত মাতামাতি বলুন তো?

কেন এত গুজগুজ ফিসফাস? এত ফতোয়া, স্ক্যান্ডাল, এত হিংসে?

আসলে প্রেম একটা স্পর্ধার নাম যা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় establishment কে, গোটা সমাজ কে! তাই প্রেম নিয়ে এত ছুতমার্গ সবার !! তবে তাতে কি প্রেম কে আটকানো গেছে? নাহ যায়নি আর যাবেও না কারণ ওই যে প্রেম একটা স্পর্ধা...

"প্রেমে পড়া বারণ" শীর্ষক সংকলনের নটা গল্পতেই প্রেম থাকবে, কখনও থাকবে খিলখিলে হাসি, এক রাশ ছোটবেলা আবার কখনো থাকবে সমাজের নানা অবক্ষয়, কখনও থাকবে ঝলমলে রোদ্দুর, কখনো ঝিরঝিরে বৃষ্টি আর কখনও আবার মেঘলা আকাশ!!