Writer : Rajat Shubhra Karmakar
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Science & Speculative Fiction
- Publication Year : 2025
- ISBN No : NA
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : NA
- Weight : 499 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
রজত শুভ্র কর্মকার — এই নাম শুনলেই বাংলা সাহিত্যের পাঠকমাত্রই বুঝে নেন, এক গভীর ডিস্টোপিয়ার ভেতরে প্রবেশ করতে চলেছেন। তাঁর লেখায় ভবিষ্যতের আঁধার, রাষ্ট্রের অদৃশ্য দমনচক্র, প্রযুক্তির প্রতাপ ও মানুষের ক্ষীণ মানবিক প্রতিবাদ—সব মিলিয়ে এক দুঃস্বপ্নের বাস্তবতা নির্মিত হয়, যাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না, শুধু অনুভব করা যায়।
এই গ্রন্থটি সেই ধারাবাহিকতারই এক পরিণত রূপ — তবে এবারে তা এক অনন্য পথে। এই বইটি আসলে দুটি পরস্পর-সম্পর্কিত নভেলার সমন্বয়, যেগুলি আলাদা সময়রেখা ও পৃথক জগতে ঘটে চলেছে, অথচ কোথাও যেন একটি সূক্ষ্ম সুতোর বাঁধনে তারা জড়িয়ে আছে। প্রথম কাহিনির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আমেরিকান ফুটবল—একটি খেলা, যা এখানে কেবল মাঠের শারীরিক সংঘর্ষ নয়, বরং মস্তিষ্কের এক অপ্রতিরোধ্য রোগের আখ্যান হয়ে দাঁড়ায়। Chronic Traumatic Encephalopathy (CTE)—যে মানসিক ব্যাধি বহু খেলোয়াড়কে ধ্বংস করেছে, সেই বাস্তবতাই রূপ পায় গল্পে, এক অন্ধকার বাস্তবতার রূপক হিসেবে।
দ্বিতীয় কাহিনির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটি এক এআই-নিয়ন্ত্রিত বাস্কেটবল লিগকে ঘিরে, যেখানে খেলোয়াড়রা আর ব্যক্তি নয়—তারা কেবলমাত্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চালিত পুতুল। ব্যক্তিস্বাধীনতা, সিদ্ধান্তগ্রহণ, কৌশল—সবই এখন যান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের আওতায়। এই গল্পে খেলার মাঠ একটি ল্যাবরেটরি, যেখানে মানুষের উপর প্রযুক্তির আধিপত্য পরীক্ষিত হচ্ছে।
এই দুই জগতের মাঝে একটি ক্ষীণ সেতুবন্ধন তৈরি করে একটি চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত অধ্যায়—যা এক অলৌকিক আবিষ্কারের মতো পাঠককে চমকে দেয়। গল্পদুটি যেভাবে যুক্ত হয়, তা একদিকে বিস্ময় জাগায়, অন্যদিকে আমাদের বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে ভবিষ্যতের অসম্ভব সম্ভাবনাকে অদ্ভুতভাবে মিলিয়ে দেয়। এই অনন্য কাহিনিকে সংজ্ঞায়িত করতে গেলে একটিই শব্দবন্ধ যথার্থ হয়: "Dystopian/Post-Apocalyptic Sports Mythpunk" — একটি ঘরানা, যার মতো কিছু হয়তো বাংলা সাহিত্য তো বটেই, বিশ্বসাহিত্যেও আগে দেখা যায়নি। খেলা, প্রযুক্তি, রাষ্ট্র ও মানবিকতার এক জটিল সংঘর্ষে গড়ে ওঠা এই উপন্যাস একাধারে ভয়ংকর, তবু গভীরভাবে প্রাসঙ্গিক।
লেখক ভবিষ্যতের এমন এক ছবি আঁকেন, যা আতঙ্কজনক হলেও আজকের সমাজ-রাজনীতি ও প্রযুক্তিনির্ভর বাস্তবতার দর্পণ। বইটি পড়তে পড়তে পাঠকের মনে গেঁথে যায় একধরনের নিরব অস্বস্তি, যা ধীরে ধীরে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে—আমরা কোথায় যাচ্ছি? প্রযুক্তির দাসত্বে, ক্ষমতার অন্ধকারে, নিয়ন্ত্রণের ছায়ায় আমাদের ভবিষ্যৎ কি শুধুই একটি ক্যালকুলেটেড অ্যালগরিদম?
তবু, এই সব অন্ধকারের মাঝেও লেখক যেন আশার এক ক্ষীণ দীপ্তি রেখে দেন গল্পের প্রান্তে—একটি ইঙ্গিত, যে হয়তো এখনো সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি। মানুষ এখনো প্রশ্ন করতে পারে, স্বপ্ন দেখতে পারে, আর সবচেয়ে বড় কথা—প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।