ভালোবাসার অবেলায়: সেই তো এলে...

সুখের জীবন অনেক সময় এক নিঃশব্দ অভ্যস্ততা—যার মধ্যে লুকিয়ে থাকে না বলা শূন্যতা, থমকে থাকা আবেগ। হঠাৎ এক ঘূর্ণিঝড় এসে সেই নিস্তরঙ্গতাকে ভেঙে দেয়, ফাঁস করে দেয় সম্পর্কের ভেতরের কাঁচা দাগ। "সেই তো এলে, ভালোবাসা..." এমনই এক অন্তরস্পর্শী উপন্যাস, যেখানে সম্পর্ক, সংবেদন এবং ব্যক্তিগত পুনর্জন্মের আখ্যান উঠে আসে মৃদু অথচ জোরালো ছন্দে।

অরুণাক্ষ ও সঞ্চারিণী—এক আপাত সুখী দাম্পত্যের দুই প্রান্ত, যাদের জীবন একসময় অনভ্যস্ততায় আচ্ছন্ন। সেখানে আকস্মিক উপস্থিত বিবর্তনের আগমন যেন এক শ্বাসরুদ্ধকর বিস্ফোরণ। সমস্ত মানসিক স্থিতি ও ভারসাম্যকে ওলটপালট করে দিয়ে শুরু হয় অরুণাক্ষর এক গভীর আত্মসংগ্রাম।

এই উপন্যাস কেবল একটি প্রেমের বৃত্তান্ত নয়, বরং প্রেমের আগমন-প্রস্থান, দাম্পত্যের অস্পষ্ট সীমারেখা, মনস্তাত্ত্বিক দোলাচল, এবং মধ্যবয়সের অভিমান-স্নেহ-শূন্যতার নিরীক্ষা। লেখকের গদ্যে থাকে সংযম, থাকে অস্ফুট কথার কুয়াশা, আর থাকে এমন এক নিঃশব্দ আর্তি, যা সরাসরি চলে যায় হৃদয়ের মর্মস্থলে।

"সেই তো এলে, ভালোবাসা..." সেইসব ভালোবাসার কথা বলে, যা অনেক দেরিতে আসে—কখনও অবেলায়, কখনও বোবা চোখের ভাষায়। কিন্তু একবার এলে, আর ফেরা হয় না আগের জীবনে। এই উপন্যাস তাই শুধু গল্প নয়, এক গভীর উপলব্ধি—যে ভালোবাসা, আসলেও একরকম দুঃখ বহন।