আলাউদ্দিন খলজি: ইতিহাসের গর্ভে চাপা পড়ে থাকা এক পৈশাচিক অধ্যায়

সুলতানি যুগের ভারত — এক রক্তাক্ত রূপান্তরের সময়। আটশো বছরেরও আগে, একদিকে ভাঙছে রাজাদের প্রাচীন গৌরব, অন্যদিকে উঠছে নতুন ধর্মীয়, রাজনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক পতাকা। সেই উথালপাথাল সময়ের কেন্দ্রবিন্দুতে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি—আলাউদ্দিন খলজি।

জালালুদ্দিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে দিল্লির সিংহাসনে বসেন আলাউদ্দিন, যিনি যুদ্ধবাজ, নির্দয় এবং দুরন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তাঁর পাশে ছিল এক রহস্যময় খোজা সেনাপতি—মালিক কাফুর। অথচ এই কাফুর নিজেই ছিল এক গোপন, পৈশাচিক শক্তির চালিত পুতুল। ইতিহাসের পৃষ্ঠায় যেখানে আলো ঝলমলে সাম্রাজ্যবাদের গল্প লেখা থাকে, সেই পৃষ্ঠার ফাঁকে ফাঁকে রয়ে যায় অপচেতনার অন্ধকার, নিষিদ্ধ বাসনার ময়লা দাগ আর এক অজানা ভয়ের ছায়া।

এই উপন্যাস ইতিহাস নয়, ইতিহাসের চুপ চাপ থেকে যাওয়া কান্না; একটি ভয়ঙ্কর শক্তির খেলা, যার রক্তাক্ত নাচে নৃত্য করেছে এক বৃহৎ সাম্রাজ্য। চক্রান্ত, হিংসা, বিশ্বাসঘাতকতা, যৌনতা ও ক্ষমতার মোহ—সব মিলিয়ে এটি এক শ্বাসরুদ্ধকর ঐতিহাসিক থ্রিলার যা পাঠককে শেষ পৃষ্ঠায় পৌঁছেও ভাবতে বাধ্য করে—আলাউদ্দিন খলজি আদৌ কতটা স্বাধীন ছিল নিজের সিদ্ধান্তে?

শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য উপযুক্ত এই কাহিনি ইতিহাসপ্রেমী পাঠকের চোখে তুলে ধরবে এক ভয়ানক যুগের নিষিদ্ধ অধ্যায়, যার পরিণতি চমকে দেয়, স্তব্ধ করে এবং অনেক অজানা প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেয়।