Writer : Apurba Dasgupta
- Shipping Time : 10 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Autobiography & Biography
- Publication Year : 2022
- ISBN No : 978-81-96905-41-5
- Binding : Card Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 240
- Weight : 499 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
বাংলার এক অজগ্রামে এক দরিদ্র পরিবারে জন্মেও যিনি বিশ্বমানব হতে পেরেছিলেন, সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলন থেকে কমিউনিস্ট, সেখান থেকে র্যাডিকাল ডেমোক্র্যাটিক এবং পরিশেষে দলহীন র্যাডিকাল হিউম্যানিস্ট ― তাঁর জীবনের এই গোটা অভিযাত্রা সাধারণত আমাদের চর্চার পরিসরে থাকে না। প্রয়োজনীয় বইও অপ্রতুল। তাঁরই প্রতিষ্ঠিত ‘রেনেসাঁস পাবলিশার্স’ তাঁর মতাদর্শের অনুগামী অপূর্ব দাশগুপ্তের লেখা মানবেন্দ্রনাথ রায়ের জীবনী প্রকাশ করেছিল একসময়। বহু চাহিদা সত্ত্বেও নিঃশেষ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন বইটি পাঠক হাতে পাচ্ছিলেন না। আমরা উদ্যোগী হয়েছি এমন একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের পুনঃপ্রকাশের কাজে।
এম এন রায় বা মানবেন্দ্রনাথ রায় অথবা নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য, যে নামে তাঁকে চেনার চেষ্টা করি না কেন, তাঁর মৃত্যুর সত্তর বছর পরেও বাংলায় লেখা তাঁর একটি জীবনী কেন আমরা প্রকাশ করছি, বিশেষত আজকের এই ধ্বস্ত সময়ে, তার একটা খুবই প্রাসঙ্গিক উত্তর আমাদের কাছে রয়েছে বলে আমাদের ধারণা।
তিনি অনুশীলন সমিতির প্রভাবে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটানোর জন্য অধুনা সুভাষগ্রাম রেলস্টেশনের টাকা প্রথম স্বদেশী ডাকাতির মাধ্যমে সমিতির হয়ে সংগ্রহ করেন। বাঘা যতীনের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে এক সর্বভারতীয় পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র উপায়ে ভারতকে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত করার পরিকল্পনা করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জার্মানি যুদ্ধ করছিল; তারা এক জাহাজ অস্ত্র ভারতীয় বিপ্লবীদের হাতে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই কাজে সমন্বয় ঘটানোর জন্য নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য সি মার্টিন ছদ্মনামে তৎকালীন বাটাভিয়া, আজকের ইন্দোনেশিয়ায় যাত্রা করেন। শুরু হয় ভারতকে বিদেশী শাসনমুক্ত করার আকাঙ্ক্ষায় নরেন্দ্রনাথের এক মহাযাত্রা, যার সমাপ্তি ঘটে আজ থেকে সত্তর বছর আগে, ঠিক এই দিনটিতেই। তিনি কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিকের সংস্পর্শে আসেন; সেই সুবিপুল এবং সারা পৃথিবীর সেরা বিপ্লবীদের সমাহারে গঠিত আন্তর্জাতিক কেন্দ্রের একজন কর্মকর্তা হয়ে ওঠেন।
ভারতের মুক্তিসংগ্রামকে কেন্দ্র করেই তাঁর যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেই কেন্দ্রাভিমুখী টানে তিনি গোপনে ভারতে আসেন, যদিও তাঁকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যেকোনো প্রান্তে দেখতে পেলেই গ্রেপ্তারের আদেশ বলবৎ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে সুদূর দেরাদুনে বসে, কেবল রাজনৈতিক ধীশক্তি এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের ছাঁকনি-গলে-আসা খবর বিশ্লেষণ করে এই যুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শক্তির অবধারিত পরাজয়ের ইঙ্গিতগুলি পাক্ষিক পত্রিকা ‘র্যাডিক্যাল হিউম্যানিস্ট’-এ নিয়মিত লিখে গেছেন। ১৯৪৭ সালের পর যখন ভারতের আইনসভা ইংরেজ-বর্জিত ভারতের সংবিধান কেমন হবে সেই বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে, তিনি এই বিষয়ে তাঁর সুচিন্তিত মতামত রেখেছেন। বিপ্লবী কাজের সূত্রে তিনি আত্মগোপন করে কাজ করেছেন ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক খ্যাত অখ্যাত শহরে, সংস্পর্শে এসেছেন লেনিন থেকে শুরু করে মাও সে তুং-এর; দাবা খেলায় পরাজিত করেছেন স্বয়ং আলেখিন-কে।
