Writer : Dr. Joydeb Mukhopadhyay
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Thriller (Historical/Mythological)
- Publication Year : 2022
- ISBN No : NA
- Binding : Paste Board (Hard)
- Pages : 168
- Weight : 260 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
২০১০ সালে প্রথম প্রকাশের পর থেকেই পাঠকসমাজে সাড়া ফেলেছিল ড. জয়দেব মুখার্জীর লেখা ‘কাঁহা গেলে তোমা পাই’। উপন্যাসের কাঠামোয় নির্মিত এই গ্রন্থ মূলত এক ঐতিহাসিক অনুসন্ধান — শ্রীচৈতন্যদেবের অন্তর্ধান রহস্যের পেছনের সত্য উদ্ঘাটনের এক সাহসী প্রচেষ্টা।
বইটা সম্বন্ধে বলার আগে এটা লেখার প্রেক্ষাপট তা জানা উচিত বলে মনে হয় | ১৫৩৩ খ্রিষ্টাব্দে ভক্তিবাদের জনক শ্রী চৈতন্যদেব মারা যান নীলাচলে এবং তার মৃত্যু নিয়ে আমরা কিছু কিছু গল্প গুজব শুনে থাকি | চৈতন্য এর অন্তর্ধান নিয়ে কয়েকটি থিওরি জানতাম, যেমন :
- ১. কৃষ্ণ প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে বাহ্যজ্ঞান লোপ পায় আর সে সময়ে তিনি পুরীর সমুদ্রে ঝাপ দেন। তাঁর দেহ আর খোঁজে পাওয়া যায়নি।
- ২. পুরীর টোটা গোপীনাথ মন্দিরের গোপীনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে তিনি মিশে গেছেন।
- ৩. পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের জগন্নাথদেবের দারুময় মূর্তিতে বিলীন হয়েছেন।
- ৪. মন্দিরের পান্ডাগণ মিলে উনাকে হত্যা করে মন্দিরের মধ্যেই দেহ সমাহিত করে ফেলেছে।
- ৫. রথের চাকা পায়ের ওপর দিয়ে চলে যাওয়ার পর অথবা বা রথ টানতে গিয়ে পায়ে ইটের আঘাত লেগে সেপটিক হয়ে তিনি মারা যান। গোপনে উনার দেহ মন্দিরের বাগানে সমাহিত করা হয়।
এখন জয়দেববাবু নতুন আরেকটা কথা শুনালেন এই বইতে ---
- ৬. শ্রীচৈতন্য মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করার পর দরজা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায় অথবা কেউ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পর ভক্তগণ মন্দিরের পান্ডাদের ডাকাডাকি হাকাহাকি করার সময়ে দেখতে পায় মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে জটাজুটধারী এক সন্ন্যাসী বের হয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই বলছেন তিনিই চৈতন্য, সন্ন্যাসীরূপে পুরী ত্যাগ করেন।
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হচ্ছে জয়দেববাবু এখানে শ্রীচৈতন্যকে মিশাচ্ছেন কর্তাভজাদের আদি গুরু আউল চাঁদ বা আউলিয়া চাঁদ এর সঙ্গে। যদিও টাইমফ্রেম মিলছে না। তারপরও চিন্তা-ভাবনার জন্য নতুন একটা থিওরি পাওয়া গেল।
সত্য মিথ্যা কোনোটিই আমাদের জানা নেই | অধ্যাপক ডঃ জয়দেব মুখার্জী কোনোভাবে এই গুজবগুলি অস্বীকার করে প্রকৃত সত্য অনুসন্ধান শুরু করেন এবং তা লিপিবদ্ধ করেন তার এই গ্রন্থতে | তার গবেষণা অনুযায়ী চৈতন্যদেবের মৃত্যুর পেছনে এক গভীর ষড়যন্ত্র ছিল যা যেভাবেই হোক চাপা পরে যায় এবং তার পেছনে অনেকাংশে দায়ী গোবিন্দ বিদ্যাধর যিনি পরবর্তী উড়িষ্যার রাজা হন |
তবে আফসোসের বিষয় লেখক খুবই ইন্টারেস্টিং একটা জায়গায় এনে পাঠককে দাঁড় করিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন (২০১৭ সালে); ওনাকে কেউ বা কারা হত্যা করে এবং তার সাথেই চুরি যায় তার গবেষণার সমস্ত নথিপত্র | বোধহয় ২য় খন্ড আর আমরা পাবো না। ২য় খণ্ডে হয়তো যুক্তিযুক্ত একটা সমাধান পেতাম আমরা।
তবে, বইটি প্রচন্ড তথ্যসম্মৃদ্ধ ও আকর্ষণীয় হলেও, অধ্যাপকের লেখার হাত বড়োই কাঁচা | সস্তার থ্রিলার উপন্যাস বানানোর থেকে উনি প্রবন্ধ লিখলে হয়তো ভালো করতেন |
