Writer : Jatindramohan Chattopadhyay
Edited By : NA
Compiled By : NA
Translated By : Jatindramohan Chattopadhyay
Publishers : Charupath Publication
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Spirituality>Miscellaneous Religious Books
- Publication Year : 2025
- ISBN No : 978-81-98509-25-3
- Binding : Paper Back (Perfect)
- Pages : 260
- Weight : 350 gms
- Height x Width x Depth : 07x5.5x01 Inch
If so, it will be notified
About the Book
গাথা (ভার্গব বেদের সারস্বরূপ জরাথ্রুষ্ট উপনিষদ) — একটি অতিপ্রাচীন আধ্যাত্মিক সংগীতসমূহের সংকলন, যার উৎপত্তি ইরানের প্রাচীন ইতিহাসে, প্রস্তর যুগ থেকে ব্রোঞ্জ যুগে উত্তরণের সন্ধিক্ষণে। এই গাথাগুলি শুধু ধর্মীয় স্তোত্র নয়, বরং সৃষ্টি, মনুষ্যচেতনা, আত্মা ও জগতের মৌলিক প্রশ্নগুলোর অনুসন্ধানে একটি গম্ভীর ও গভীর দর্শনের ভাষ্য।
এই গাথার রচয়িতা জরথুষ্ট্র — একজন ঋষিতুল্য সত্যদ্রষ্টা, যিনি প্রবর্তন করেন একেশ্বরবাদী একটি ধর্মমত। তাঁর উপাস্য দেবতা "অহুর মাজদা" — জ্ঞানের প্রভু, আলোক ও সত্যের একমাত্র উৎস। গাথাগুলি মূলত ছন্দোবদ্ধ, সংগীতধর্মী এবং ভাবগম্ভীর ভাষায় রচিত; এগুলি আবেস্থা নামক ধর্মগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত, যা জরথুষ্ট্রের মুখনিঃসৃত বাণী বলে গণ্য।
জরথুষ্ট্রের জীবনকাল নিশ্চিতভাবে নির্ধারণ করা কঠিন হলেও, ইতিহাসবিদদের মতে তাঁর সময় খ্রিস্টপূর্ব ১৭০০ থেকে ১৫০০ সালের মধ্যে হতে পারে। গ্রীকরা তাঁকে "জোরাস্টার" নামে অভিহিত করত, এবং তাঁর ধর্মমত—জরথুষ্ট্রীয় ধর্ম বা জোরোঅস্ট্রিয়ান ধর্ম নামে পরিচিত। "জারাথা" (স্বর্ণ) ও "ঊষস্ত্রা" (আলোক) শব্দদ্বয়ের সংমিশ্রণে "জোরাস্টার" শব্দটির উদ্ভব, যার তাৎপর্য—"স্বর্ণালোক", অর্থাৎ আলোর সেই মহামানবের বাণী।
এই বইটি মূল জেন্দ আবেস্তা থেকে প্রথম বাংলা অনুবাদ, এখানে অনুবাদক ও গবেষক শ্রদ্ধেয় শ্রী যতীন্দ্রমোহন চট্টোপাধ্যায় জরথুষ্ট্রীয় গাথার বঙ্গানুবাদ, টীকা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে ধর্মতত্ত্ব, নৈতিকতা ও দর্শনের এক নতুন ব্যাখা উপস্থাপন করেছেন। বৈদিক সাহিত্য ও দর্শনের আলোকে গাথার ভাবধারাকে পর্যালোচনা করে, তিনি উন্মোচন করেছেন দুই সংস্কৃতির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য। বিশেষভাবে, গাথার সংগীতধর্মী মন্ত্রসমূহ ও বেদীয় ঐতিহ্যের তুলনায় এ গ্রন্থে উঠে এসেছে পুরাতন পারসিক ধর্মের মূল দর্শনের একটি স্বচ্ছ রূপরেখা।
গাথাকে অনেকে ‘জরথুষ্ট্র-উপনিষদ’ বলেও অভিহিত করেছেন, কারণ তার গাম্ভীর্য, দার্শনিকতা ও আত্মজিজ্ঞাসা অনেকাংশে স্মরণ করিয়ে দেয় শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা-র মহৎ বাণী। কিছু বিশেষজ্ঞ আবেস্থার গাথা অংশকে অথর্ববেদের প্রাচীন ‘ভৃগু খণ্ড’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন — যেখানে রয়েছে অসুরীয় ধারার প্রতিফলন। বিপরীতে, দেবগণের পুরোহিত অঙ্গিরস (বৃহস্পতি) প্রবর্তিত ধারাই পরবর্তীকালে প্রচলিত অথর্ববেদ।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে, গাথা কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয় — বরং এটি দুই প্রাচীন সভ্যতার, পারস্য ও ভারতীয় উপমহাদেশের, দর্শন ও সংস্কৃতির মধ্যে এক অন্তর্দৃষ্টিমূলক সংলাপ। এ গ্রন্থ বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করবে ধর্ম, দর্শন, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ভাবনার তুলনামূলক অনুসন্ধানীদের, যারা প্রাচীন সভ্যতার মধ্যে অন্তর্লীন ঐতিহ্যগত সংযোগ ও বিরোধের গভীরতর তাৎপর্য অন্বেষণ করতে আগ্রহী।