• মহাবিশ্বের প্রবলতম চুম্বকত্বের দেখা মিলবে কোথায়?
• তথ্য সংরক্ষণের কাজে কীভাবে চুম্বকত্বকে কাজে লাগানো হয়?
• বর্তমানে চুম্বকত্ব নিয়ে বিশেষ গবেষণার দিকগুলো কীরকম!

গেরস্থালির মামুলি কাজ থেকে চিকিৎসাক্ষেত্রে এমআরআই যন্ত্র বা কম্পিউটারের হার্ড-ডিস্ক, সব কিছুই ঋণী চুম্বকবিজ্ঞানের কাছে। সহজ ভাষায় চুম্বকত্বের আপাত অজানা স্বরূপ আলোচিত হয়েছে বইটিতে।

ডঃ রাজীব সরকার বর্তমানে জার্মানির টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অফ ড্রেসডেন-এ গবেষণা এবং অধ্যাপনার সাথে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর গবেষণার অন্যতম বিষয় অতিপরিবাহিতা ও চুম্বকত্ব। তাই এমন একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি যখন বাংলা ভাষায় এমন একটি বই লেখেন সেটা পড়ার আগ্রহ জন্মানো স্বাভাবিক। এমনিতেই বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের সংখ্যা অল্প, আর চুম্বকত্ব নিয়ে তেমন কোনো বই আমার চোখে পড়েনি এর আগে।

বইটিতে রয়েছে ২৫টি অধ্যায়। অধ্যায়গুলিতে একে একে আলোচিত হয়েছে চুম্বকের ইতিহাস থেকে চুম্বক নিয়ে আধুনিক গবেষণালব্ধ ফলাফলের কথাও। বইয়ের বিভিন্ন অধ্যায়ে স্বল্পপরিসরে ধারণা দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকার চুম্বকত্ব, চুম্বক মোনোপোল, স্পিন ইত্যাদি নিয়ে। বইয়ের ভাষা বেশ সহজ, সরল।

কাজের সূত্রে পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র, ভূত্বকের চুম্বকত্ব ও চুম্বক বৈষম্য (Magnetic anomaly) নির্ণয় করতে হয় আমাকে এবং এই কাজে ম্যাগনেটোমিটার (Magnetometer) ব্যবহারও করে থাকি আমি। তাই, “পৃথিবী কেন চুম্বক?” নামক অধ্যায়টি একটু সময় নিয়ে পড়েছি। যদি নতুন কিছু অজানার সন্ধান পাই, সেই তাগিদে।

লেখকের নিজের শব্দ ধার নিয়েই বলি- বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে চুম্বকত্বের বিভিন্ন বিষয়কে উপস্থাপিত করা হয়েছে সাধারণ পাঠকের কথা ভেবে। হয়তো এজন্য বইটিতে অত্যন্ত সযত্নে জটিল সমীকরণগুলিকে এড়িয়ে প্রায় গল্পের আকারে সেগুলির প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই বইটির মূল উদ্দেশ্য চুম্বকত্বের প্রাথমিক ধারণা তৈরি করা, তাই কোনো বিষয়ের জটিল বিষয়গুলির গভীরে ঢুকে আলোচনা একেবারেই নেই, যা সাধারণ পাঠকের জন্য সহজবোধ্য হবে বলেই আমার ধারণা। 

— পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখেছেন: জয়ন্ত ঘোষ (ভূ-পদার্থবিদ্, জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া)