Writer : Anjan Sengupta
Edited By : NA
Compiled By : NA
Translated By : NA
Publishers : J N Chakraborty & Co [with Swastik Prakashan]
- Shipping Time : 7 Days
- Policy : Return/Cancellation?
You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.
Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info. - Genre : Literature>Thriller (Historical/Mythological)
- Publication Year : 2024
- ISBN No : 978-93-83458-52-3
- Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
- Pages : 250
- Weight : 600 gms
- Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
If so, it will be notified
About the Book
এই ঐতিহাসিক উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে একটি অনৈতিহাসিক চরিত্র, যার নাম হল 'ভীম কা কঞ্চুকী'।
যখন ইন্দো-মঙ্গোলীয়ান উপজাতির লোকেরা কোনো এক শুভ সময়ে আসাম-কাছাড় ভূমি অতিক্রম করে তিপ্রা ভূমির দখল নিয়েছিল তৎকালীন লিকা (বৌদ্ধ) রাজাকে পরাজিত করে, তখন তাদের পদবী ছিল 'ফা'। আর সেই 'ফা' পদবীর নির্মোক খুলে দিয়েছিল ১৪৬০-৬৮ সালে সেই বংশের এক সর্দার পুত্র রত্ন ফা যখন গৌড়ের সুলতান বারবক শাহের দরবারে এসে দীর্ঘদিন সুলতানের আনুকূল্য লাভকরেছিলেন। তিনি যখন গৌড় রাজ্য ছেড়ে চলে যান তখন স্বয়ং গৌড় সুলতান তাঁকে 'মাণিক্য' পদবীতে ভূষিত করেছিলেন। আর সেই থেকেই 'ফা' সর্দারেরা হয়ে যান মাণিক্য।
আর এই সমস্ত ঘটনা পরম্পরা যার নখদর্পণে রয়েছে সে হল একজন নপুংসক। অর্থাৎ কঞ্চুকী। তিনি একজন অনৈতিহাসিক চরিত্র হলেও এই রাজ্যের গড়ে ওঠা এবং বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত সবই তাঁর জানা। যেন তিনি প্রায় সকল রাজকুমারকেই কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন। আর তাই তো ত্রিকালজ্ঞ ভীম ফা কঞ্চকী আমাদের সামনে হারিয়ে যাওয়া জনপদ এবং 'ফা' সর্দারদের ইতিহাসের ঝুড়ি নিয়ে হাজির হয়েছেন। সর্দার জুঝারু ফা থেকে শুরু করে একেবারে শেষ মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ মাথায় বয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিপ্রা সর্দারেরা শুধু নিজেদের 'ফা' বললেও ভালোবেসে তাঁরা ভীমকেও ফা বলতেন। তবে মজা করে কখনও কখনও কঞ্চুকী ডাকায় এটা তাঁর পদবীর মতো শোনায়। রাজ্যের সর্বত্রই তাঁর যাতায়াত ছিল। এমনকী একেবারে অন্দরমহলেও সে ছিল সকল রানিদের প্রিয় পাত্র। রানিদের অসাধ্য কাজ করে দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এমনকী রাজাদের যারা কাছুয়া (রক্ষিতা) রানি ছিলেন তারাও তাকে পছন্দ করতেন। নিজের চোখেই তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের উত্থান-পতন দেখেছেন। রাজ সিংহাসনকে রাজরক্তে কলুষিত হতে দেখেছেন। দেখেছেন রাজরানির ব্যভিচারী হয়ে ওঠা। আবার একেবারে রন্ধনশালার মূল পাচককে ত্রিপুরা সিংহাসনে বসে একটানা বারোটি বছর রাজত্ব করতেও দেখেছেন। সেই সাথে রাজার ঔরসে পরস্ত্রীর গর্ভে সন্তান নেওয়া সন্তানকে ত্রিপুরার রাজা হিসেবে মনোনীত হতেও দেখেছেন।
এমন সব মধুর স্মৃতির সঙ্গে রয়েছে একটি ভয়ানক স্মৃতি যা আজও তাঁকে দগদ্ধে মারে। আর তা হল 'রিয়াং বিদ্রোহ'। তার রক্তাক্ত ছবি আজও তিনি চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পান। তাই তিনি একদিন তাঁর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে রিয়াং বিদ্রোহের পরে বহু যুগের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিপুরা রাজ্য ছেড়ে চলে আসেন একটি অজানিত গ্রামে। আর এখান থেকেই উপন্যাসটির শুরু।
