Welcome to Dorlink
Selected Books
×
Kolkatar Prothom Mohila Serial Killer

Writer : Sujit Roy

Edited By : NA

Compiled By : NA

Translated By : NA

Publishers : Book Farm

  • Shipping Time : 7 Days
  • Policy : Return/Cancellation?

    You can return physically damaged products or wrong items delivered within 24 hours with photo/video proof.
    Contact Customer Support for return initiation and receive return authorization via email. Securely package for return.

    Refunds for eligible returns are processed within 7-10 business days via Bank Transfer.
    Order cancellation allowed within 24 hours of placing it. Standard policy not applicable for undamaged/wrong product cases. Detailed info.

  • Genre : Literature>Diary / Interview / Non-fiction
  • Publication Year : 2025
  • ISBN No : 978-93-48544292
  • Binding : Paste Board (Hard) with Gel Jacket
  • Pages : 192
  • Weight : 499 gms
  • Height x Width x Depth : 8.5x5.5x0.5 Inch
MRP : ₹349.00/- Discount : 15% Off
Your Price : ₹297.00/-
MRP is subject to change as per edition/impression by the publisher.
If so, it will be notified

About the Book

অতীতের ঠগি-কাহিনি দিয়ে যার সূত্রপাত তা থেকে মানুষ খুনের নতুন পদ্ধতি বায়োলজিক্যাল কিলিং-এর উদাহরণ আমরা বিংশ শতাব্দীতে দেখেছি এই বঙ্গেই। কিন্তু, যে উদাহরণ বিরল হিসেবে আজও কলকাতা তথা বঙ্গের অপরাধ ইতিহাসে স্বীকৃত, তা হল মহিলা খুনি। সেই বিরল উদাহরণেরও বিরলতম উদাহরণ হিসেবে গত প্রায় দেড়শো বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত, তার নাম ত্রৈলোক্যতারিণী, যে মহিলা শুধু খুনিই ছিল না। সে ছিল সিরিয়াল কিলার। 

কলকাতায় সিরিয়াল কিলার মানেই স্টোনম্যান। ভারী পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে তেরোটা খুনের পরেও অধরা স্টোনম্যানের মহিমায় কলকাতার সিরিয়াল কিলারের ইতিহাসটাই ধামাচাপা পড়ে। নতুন করে খোদাই-খনন করতেই বেরিয়ে আসে ত্রৈলোক্যতারিণী। কলকাতার প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার। কলকাতার গ*ণিকা পল্লির একদা মক্ষীরানি ত্রৈলোক্য পর পর যাদের খু*ন করেছে তাদের সকলেই ছিল গ*ণিকা। কটা নয়, দুটো নয়, সোনাগাছির উর্বশী রূপজীবী ত্রৈলোক্যতারিণী পর পর পাঁচ তরুণী গণিকাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। কলকাতা শহরের বহু চমকপ্রদ তথ্যের ভিড়ে এ এক আশ্চর্য ইতিহাস বর্ধমান জেলার ওই অপরিচিত অনামি এক যুবতীর। 

একটা ছাড়া বাকি সবটা খু*নের মোডাস অপারেন্ডি বা খু*নের প্রক্রিয়া ছিল একই। সেটা কেমন? মহিলা হয়েও কীভাবে একজন সফল হত্যাকারী হয়ে উঠল সে? কেনই-বা ত্রৈলোক্য বেছে বেছে সহকর্মী গণিকাদেরই খু*ন করত? শেষপর্যন্ত বিচারে তার কি শাস্তি হয়েছিল? সে-শাস্তি কি যথাযথ ছিল? এই কাহিনি সেই দুর্লভ অপরাধিনীর কথকতা। এ কাহিনি সেই ক্রমিক হ*ত্যামামলার দুর্ধর্ষ ও বিতর্কিত কাহিনিও। সূত্র অবশ্যই তৎকালীন পুলিশি তদন্তের রিপোর্ট এবং ত্রৈলোক্যতারিণীর জবানবন্দি যা শুধু এক মহিলা খু*নির জবানবন্দি নয়, সামাজিক কুসংস্কারের শিকার এক অতি সাধারণ অশিক্ষিত নারীর অকুতোভয় সত্যকথন। এই গ্রন্থ আঠেরোশো শতাব্দীর কলকাতার সেই ক্রাইম কাহিনি যার পরতে পরতে ঠাঁই খুঁজে নিয়েছে প্রাচীন কলকাতার কুলীন কীর্তিকাহিনি, বেশ্যা কলাকৃতির চর্চাপদ, বাবু কালচারের দিগ্্দর্শন আর দেশ-বিদেশের সিরিয়াল কিলারদের গা-ছমছমে হত্যাকথা।

ত্রৈলোক্যতারিণীর কাহিনি পুরোনো কলকাতার কথকথার পাঠকদের অজানা নয়। কম-বেশি দেড়শো বছর ধরে বাংলা ক্রাইম থ্রিলারের পাঠক-পাঠিকাদের মাতিয়ে রেখেছে আদতে এক গ্রামীণ কুলীন গৃহবধূ, যে কলকাতার সোনাগাছি পতিতাপল্লির রাজ রাজেশ্বরী হয়ে টানা পনেরো বছর মাতাল করে রেখেছিলো তৎকালীন কলকাতার বাবু সমাজকে। গ্রন্থের প্রয়োজনে মূল তথ্য যথাসম্ভব অবিকৃত রেখেই সমকালের তথ্য ও পরিসংখ্যানের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কাল্পনিক ঘটনা, কথোপকথন ও বিবরণের আশ্রয় নিতে হয়েছে, সে-দায় শুরুতেই লেখক হিসেবে স্বীকার করে নিচ্ছেন। কারণ, আলোচ্য গ্রন্থটি চারিত্রিক বিচারে পুরোপুরি ফিকশন নয়, আবার পুরোপুরি নন-ফিকশনও নয়। ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও কল্পনার আশ্রয়ান্বিত ফিকশন ও নন-ফিকশনের এক রসাশ্রিত ইনফিউশন। ফিকশনের ছঁাচে নন-ফিকশনের ইনফিউশন।

ত্রৈলোক্যতারিণীকে আপনারা অনেকেই চেনেন বিভিন্ন বইপত্র আর ইউ-টিউবের দৌলতে। তাহলে সেই পুরোনো মদ নতুন বোতলে ভরে পুনঃপরিবেশন কেন ? আগ্রহী পাঠকদের জানাই — ‘কলকাতার প্রথম মহিলা সিরিয়াল কিলার’-কে আপনাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে নানা তথ্যের অলংকারে সজ্জিত করে, যা আপনাদের অনেকেরই অজানা। সেটা কেমন? এতে আছে —

  • •⁠ ⁠বাস্তব ঘটনার ভিত্তিতে লেখা ফিকশন ও নন-ফিকশনের এক মিশ্র ধারার রচনা।
  • •⁠ ⁠সেকালের বহু ক্রাইম কথা।
  • •⁠ ⁠পুরোনো কলকাতার পতিতাপল্লির ভূগোল।
  • •⁠ ⁠গণিকা সমাজের জলছবি।
  • •⁠ ⁠পতিতাপল্লির ঠাট-বাট গমক-চমক।
  • •⁠ ⁠বেশ্যা কলাকৃতির বিস্তারিত বিবরণ।
  • •⁠ ⁠গণিকাদের ছলাকলার নানা কাহিনি।
  • •⁠ ⁠কুলীন সমাজের ভয়ংকর অত্যাচারের বহু কাহিনি।
  • •⁠ ⁠সোনাগাছির মতো রহিস বেশ্যাপল্লির অন্য কলাকারদের রসালো গালগপ্পো।
  • •⁠ ⁠বহু বিরল বেশ্যাসংগীত বাঈজি সংগীত যা মাতিয়ে রাখতো রাতের কলকাতাকে।
  • •⁠ ⁠বহু মানবিক কাহিনি, সেকালের বালবিধবা আর বাপে খেদানো, মায়ে খেদানো বাঙালি তরুণীদের অসহ্য জীবন যন্ত্রণার কথা।
  • •⁠ ⁠এ গ্রন্থে ত্রৈলোক্যতারিণী কেবল এক বারবধূ নয়। সে প্রাচীন বাংলার ভিটে ছাড়া তরুণীদের একজন প্রতীক।
  • •⁠ ⁠অসংখ্য অলংকরণ।


Disclaimer: কীভাবে, কি লেখা আছে এই বইটিতে ? কেন এটি ১৮+ এবং কঠোরভাবে প্রাপ্তমনষ্কদের জন্য ? নিচে উদাহরণ দেওয়া হল —

ত্রৈলোক্যর কানে আসছিল গানগুলো-কখনো নারীকণ্ঠে, কখনো পুরুষকণ্ঠে। নারী গায় :

অবলার পতিরত্ন, সাধনের ধন।
সে-ধন বিহনে বলে, সংসার বিজন॥
হেন ধন পরিহারি, ভ্রমি নানা দেশ।
আমি অতি পাপমতি, অধমের শেষ॥

নারীর কষ্টের জবাবে পুরুষ গেয়ে ওঠে -

ভাবিস কেন ভবি,
তোর নাইয়ের নীচে যে ধ*ন আছে,
তাই দিয়ে তুই খাবি।

গানের ভাষায় ছড়িয়ে যায় নারীকণ্ঠের হাসির ছররা।

তাই শুনে পুরুষ উৎসাহ পায়। মদের নেশায় জড়িয়ে যাওয়া কণ্ঠেই গেয়ে ওঠে -

ছুঁড়ি, তুই হাসলি কেন, বল?
হাসলি যদি, মন মজালি,
তবে ঝোপের ধারে চল!
লেকা আচে পুঁতির পাতে
তোর নাভির নীচে
আছে নাকি মানুষ-মারা কল!
ঝোপের ধারে নিয়ে দেকি
সে কেমন ধারা কল,
তুই হাসলি কেন, বল?

[দ্রষ্টব্য : তৎকালীন বে*শ্যাপল্লির বাস্তব চিত্র এবং এই গ্রন্থের বাস্তব পরিপ্রেক্ষিত বোঝাতে অশ্লীল শব্দসহ প্রচলিত এই গানটি ব্যবহার করতে হয়েছে। আশা করি, সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাবৃন্দ গানটির ব্যবহারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে ধরে নেবেন না।] (প্রকাশকের নিজস্ব ফেসবুক পেজ থেকেই সংগ্ৃহীত)